টেকনাফ অফিস | রবিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৮
টেকনাফের নয়াপাড়া শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন জাতিসংঘেরর মহাসচিবের রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার। ১০ নভেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় টেকনাফ নয়াপাড়স্থ শালবাগানের (ক্যাম্প নং- ২৬) শরণার্থী ক্যাম্পের পাশে এলপিজি ওয়ারহাউস ডিষ্ট্রিবিউশন সেন্টারের একটি কক্ষে ঘন্টাব্যাপী রোহিঙ্গা নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। সেখানে টেকনাফ নয়াপাড়া শালবাগানের ডেভলমেন্ট কমিটির নারী চেয়ারম্যান রমিদা বেগমসহ ৯ রোহিঙ্গা নেতা ছিলেন। এদের মধ্যে চারজন রোহিঙ্গা নারী ছিল। রোহিঙ্গা লিডার রমিদা বেগম জানান, জাতিসংঘেরর মহাসচিবের রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার তাদের কাছে মিয়ানমারের পরিস্থিতি জানতে চাইলে রোহিঙ্গা নেতা রাহমত উল্লাহ ও লায়লা বেগম তাদেরকে জানান, মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গা জনগোষ্টীকে নির্মূল করতে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। মা-বোনদের ধর্ষন, বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগসহ নানা রকমের নির্যাতন চালিয়েছিল। ফলে তারা প্রাণে বাঁচতে এপারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এসব নির্যাতনের বিচার দাবী করেন নেতারা।
পরে রোহিঙ্গা নেতারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাবেনা বলে আশ্বস্থ করেছেন বলে রমিদা বেগম জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে ক্রিস্টিন এস বার্গনার সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন কথা বলেনি। দুপুর ১২ টারদিকে জাতিসংঘের বিশেষ দূত কুতুপালংয়ের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ত্যাগ করেন।
শনিবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভসড়ক যোগে তিনি ক্যাম্পে আসেন।
রমিদা বেগমের বাড়ি মিয়ানমার রাইম্যাবিল গ্রামের বাসিন্দা। সে বতর্মানে নয়াপাড়াস্থ শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে বসবাস করছেন। গত বছর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নেন। গত ৪ মাস আগে ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে রমিদা বেগমকে টিম লিডার করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছিলেন।
Posted ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh