দেশবিদেশ রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
ইয়াবা সহ মাদক নিয়ে এত কিছু করার পরেও কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারিরা থেমে নেই। আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনেও এরকম ইয়াবা কারবারিদের তালিকাভুক্ত তিনজন আবারো প্রার্থী হয়েছেন। ইয়াবায় সংশ্ল্ষ্টি তিন ব্যক্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে সরকারি-বেসরকারি নানা পদক্ষেপ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।
অভিযোগ উঠেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের উপস্থিতিতে টেকনাফে অনুষ্টিত ইয়াবা কারবারিদের আতœসমর্পণ অনুষ্টানে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল যে, তারা যেহেতু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত কারবারি তাই তারাও যাতে আতœসমর্পণ করুন। কিন্তু পুলিশের আহ্বানে তারা সাড়া দেননি।
এদিকে মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের তৃতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন টেকনাফ উপজেলায় তালিকাভুক্ত তিনজন মনোনয়ন পত্র দাখিল করে প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দানকারি জাফর আহমদ। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা ৭৩ জন কারবারির তালিকার ৬ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত ব্যক্তি। গত মঙ্গলবার তিনি আবারো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
অপরদিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের সভাপতি নুরুল আলম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। যুব লীগ নেতা নুরুল আলম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা ৭৩ জন ইয়াবা কারবারির ৫৮ নম্বর ক্রমিকের তালিকাভুক্ত।
অনুরুপ টেকনাফ উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী রফিক উদ্দিন আবারো ভাইস চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন দাখিল করেছেন। মৌলভী রফিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা ৭৩ জন ইয়াবা কারবারির ২৬ নম্বর ক্রমিকের তালিকাভুক্ত রয়েছেন। টেকনাফ উপজেলা নির্বাচনে তিন জন তালিকাভুক্ত কারবারি চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হওয়ায় সীমান্ত এলাকায় নানা কথা উঠেছে।
তবে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারি তিন প্রার্থীই দাবি করেছেন-তাদের নাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত করা হলেও বাস্তবে তারা এ কারবারে জড়িত নেই। বরং তারা তিনজনই ইয়াবা বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন-দাবি তাদের।
এসব বিষয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা জানিয়েছেন-‘ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় সাবেক দলীয় এমপি ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছে। এর বাইরে দলীয় যে কোন কেউ প্রার্থী হলে তিনি হবেন বিদ্রোহী প্রার্থী।’ প্রসঙ্গত আসন্ন নির্বাচনে টেকনাফে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৬ জন।
Posted ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh