টেকনাফ অফিস | সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
টেকনাফের সাবরাং উপকূলে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় দুই মাদক কারবারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ২৮ অক্টোবর রোববার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার সাবরাং উপকূলীয় কাটাবনিয়া ঝাউ বাগানে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের খবর পেয়ে বিশেষ ফোর্স নিয়ে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে গমন করেন। এসময় মাদক চোরাকারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। একপর্যায়ে মাদক কারবারীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। এতে পুলিশের এসআই রাজু, এএসআই মিঠু ও কনস্টেবল ইব্রাহীম খলিল আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২টি গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত মৃতদেহ, ৬টি অস্ত্র, ২৫ রাউন্ড কার্টুজ ও বিপূল পরিমাণ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে। পরে লাশ থানায় এনে মৃতদেহ ২টির পরিচয় শনাক্ত করে ১জন টেকনাফ পৌর এলাকার উত্তর জালিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হাশিমের পুত্র হাসান আলী (৪৩), অপরজন টেকনাফ সদরের নাজির পাড়ার নুরুল আলমের পুত্র মোঃ কামাল উদ্দিন (২৮)বলে জানা যায়। এদের মধ্যে নিহত মাদক কারবারী কামাল উদ্দিন ২০১৬ সালে আলোচিত সাংবাদিক হামলার আসামী ছিল। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, দুইদল মাদক কারবারীর বন্দুক যুদ্ধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মাদক কারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে মাদক চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল হতে ২টি মৃতদেহ, ৬টি অস্ত্র, ২৫ রাউন্ড বুলেট ও বিপূল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সন্ত্রাসীরা মাদক কারবারীদের কাছ থেকে ইয়াবার চালান কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
Posted ১:২৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh