নিজস্ব প্রতিবেদক
টেকনাফ উপকূলীয় বাহারছড়ার এক কথিত সংবাদকর্মীর টাকা চাঁদা চাওয়ার অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। সূত্রে জানা যায় উখিয়ার মনখালী গ্রামের নাঈম আজাদ নামে এক ব্যক্তি ও তার পরিবার কয়েক যুগ ধরে বনবিভাগের জায়গার উপর বসবাস করে আসছিল। আবার বনবিভাগের এই জায়গাটি এলজিইডি সড়কের একদম পাশে। নাঈম আজাদ নামে এই ব্যক্তির ঘরের পাশে আরো শতশত ঘরবাড়ি রয়েছে। দীর্ঘদিন নাঈমদের বাড়িটি সংস্কার না করার কারণে একদম জরাজীর্ণ অবস্থা হয়ে যায়।
বনবিভাগের উচঁনিচু জায়গা হওয়াতে তাদের বাড়িটি ছিল আঙ্গিনার কয়েক হাত উপরে। তাই বাড়ি এবং আঙ্গিনা এক সমান করতে তারা কিছু মাঠি কেটে সমান করছিল। আর তাদের মাঠি সমান করার জায়গার পরিমান চার থেকে পাঁচ গন্ডার বেশি হবেনা বলে স্থানীয়রা জানান। এই অল্প জায়গায় ভূমিহীন এই পরিবার যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছিল। আর তাদের এই কাজে নজর পড়ে আজিজ উল্লাহ নামে স্থানীয় এক কথিত সংবাদকর্মীর। এই ব্যক্তি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে কোনো মুলধারার গণমাধ্যমে কাজ না করলেও তার বিভিন্ন আচার ব্যবহার ও দালালির জন্য অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ এমন অভিযোগ সবার।
দীর্ঘদিন এই ব্যক্তি ভোরেরপাতা নামে একটি পত্রিকায় কাজ করে বলে পরিচয় দিলেও গত রাত থেকে তিনি তার ফেইসবুক প্রোফাইল থেকে এই পরিচয়টি তুলে নিয়েছেন। আবার লন্ডনটাইমস নামে একটি অপরিচিত অনলাইনের তিনি বার্তা সম্পাদক বলে দাবী করেন। এদিকে ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ড থেকে জানা যায় সংবাদকর্মী নামধারীরা নাঈমকে বলে বনবিভাগের জায়গায় তুমি বাড়িঘর সব করতে পারবা। আমরা ঠিক থাকলে তোমার কোনো সমস্যা হবেনা। ডিএফও (বিভাগীয় বন কর্মকর্তা) সাথে আমাদের ভাই বোনের সম্পর্ক। বাইরে থেকে কোনো সাংবাদিক তোমাদের কিছু বললে কোনো টাকা পয়সা দিবানা। কোনো টাকা দিলে আমরা সংগটন থেকে ব্যবস্থা নিব। এইসব বিষয়ে ধামাচাঁপা দিতে সম্পাদকদের আমাদের টাকা পাঠাতে হয়। কারণ উপরে যারা থাকে তাদের টাকা বেশি পাঠাতে হয় বলে নাঈম থেকে পনের হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। দর কষাকষিতে সংবাদকর্মী নামধারীরা তিন হাজার টাকায় এসে থামে।
নাঈম ব্যক্তিটা টাকা গুলো একটু পর দিবে বলে কোনো রকম তাদের কাছ থেকে বের হয়ে আসে। আজিজের সাথে তার এক সহযোগী মিজবাহ ছিল বলে জানা যায়। পরে নাঈমকে টাকার জন্য তারা বেশ কয়েকবার ফোন দেয়। সমস্ত বিষয় নাঈম অডিও রেকর্ডিং করে পেলে। পরবর্তীতে অডিও রেকর্ডটি প্রকাশ পেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে। বার মিনিটের এই অডিও রেকর্ডে চাঁদাবাজির আরো অনেক কথা বলেন তারা। এদিকে স্থানীয়রা জানান বনবিভাগের জায়গায় কেউ অবৈধ স্থাপনা করে থাকলে সেটা বনবিভাগ মোকাবেলা করবে। আবার মুলধারার সাংবাদিকরা নিউজের মাধ্যমে তা কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। কিন্তু এ নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সরাসরি চাঁদা চাওয়ার অধিকার কারো নেই। অন্যদিকে অডিও রেকর্ডটি এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
Comments
comments