| মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা বর্ষণ কক্সবাজারে পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। তবুও সরতে নারাজ ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীরা। সম্প্রতি পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ বসতি। পাহাড় কেটে এখানে তৈরি হয় অসংখ্য ঘর। শহর ছাড়াও আশপাশের কলাতলী, হিমছড়ি, বাসটার্মিনাল, রুমালিয়ার ছড়া, জেলগেইট, দরিয়া নগরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বাস করছে প্রায় ২০ হাজার পরিবার।
ভারী বৃষ্টিতে এখানে পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঘটে প্রতিবছরই। কিন্তু মৃত্যুঝুঁকি জেনেও নানা অজুহাতে এসব বসতি ছাড়তে নারাজ বসবাসকারীরা।
স্থানীয় একজন বলেন, মাইকে পাবলিসিটি করে আমাদেরকে এখানকে নেমে যাওয়ার জন্য বলে। তাদের কথা অনুসারে আমরা যদি নেমে যাই তাহলে ঘরে চোর, ডাকাত আমাদের জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। আরেকজন বলেন, এই বৃষ্টির মধ্যে আর কোথায় যাব, পাহাড় ছাড়া আর কোথাও আমাদের জায়গা নেই। আরেকজন বলেন, সরকার যদি কোন একটা ব্যবস্থা করে দিয়ে এখান থেকে চলে যেতে বলে আমরা চলে যাব।
বনবিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৮ উপজেলায় অন্তত ৫০ হাজার পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাস করছে। ভারী বর্ষণে পাহাড়ধসের বিপদ তৈরী হওয়ায় তাদের সরাতে এখন তৎপর প্রশাসন।
কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল আমিন পারভেজ বলেন, আমরা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছি যাতে তারা তাদের জীবন এবং সম্পদের নিরাপত্তার স্বার্থে খুব দ্রুত নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে যান এবং সেখানে তাদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আর যদি কোন জায়গা না থাকে ভূমিহীন হন তাহলে আমরা তাদের জন্য অবশ্যই খাস জমির ব্যবস্থা করব।
কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির বলেন, যদি স্থায়ীভাবে তাদেরকে ওইরকম সুযোগ দেয়া হয় হয়ত তারা লুফে নেবে সেটা। আর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রশাসন যে উদ্যোগ নেবে আমরা কক্সবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে সে উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে।
কক্সবাজারে পাহাড়ধসে গত ৫ বছরে মারা গেছে দেড় শতাধিক মানুষ। শুধু গত বছরেই প্রাণ গেছে ২১ জনের। গত রোববারও মহেশখালীতে মারা গেছে ১ শিশু।
আ দে বি/ সাই.
Posted ১২:৫৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
dbncox.com | ajker deshbidesh