শুক্রবার ২রা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

ঝুঁকি নিয়ে রাত কাটছে রোহিঙ্গাদের

শফিক আজাদ,উখিয়া   |   শনিবার, ২৮ জুলাই ২০১৮

ঝুঁকি নিয়ে রাত কাটছে রোহিঙ্গাদের

পাশ্ববর্তী  দেশ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে উখিয়ায় আশ্রয় নেওয়া ৭লাখ ও পুরাতন ৪লাখ সহ ১১লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় ২ লাখ রোহিঙ্গা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুকিতে রয়েছে। এসব পরিবারদের মধ্য থেকে ৩৫হাজার রোহিঙ্গাকে ঝুকিমুক্ত করা হলেও বাদ-বাকীরা এখনো রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে। যার ফলে এসব রোহিঙ্গারা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে রাত যাপন করছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা নেতারা। গত ৫দিনের ভারী বর্ষনে একাকার হয়ে পড়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে বেশির ভাগ রোহিঙ্গা। তবে এদিকে ইউএনও বলছেন এ পর্যন্তও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তেমন কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও যে কোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও সংস্থাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত বছরের ২৫ আগষ্টের পর উখিয়ায় আশ্রয় নেওয়া ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারনে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার একর বন ভুমিতে আশ্রয় দেয় সরকার। পরবর্তীতে প্রশাসন বর্ষা মৌসুমে সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত স্থান থেকে দুই লাখ রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিশ্চিত করে। বাদ বাকি রোহিঙ্গাদেরকেও একটি সুনির্দিষ্ট নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করলেও তা বাস্তবায়ন হতে না হতে বর্ষা শুরু হয়।

এমতাবস্থায় ওইসব ঝুকিপূর্ণ পরিবার গুলো অনন্যপায় হয়ে স্ব স্ব অবস্থানে দিন যাপন করছে। কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক স্থানে পাহাড়ে ফাঁটল ধরেছে। রোহিঙ্গা নেতা আলী জুহুর জানান, টানা বৃষ্টির ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে পাহাড় ধ্বসের বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আরেক বয়োবৃদ্ধ মোহাম্মদ আলম (৫৫) জানায়, ভারী বর্ষনের কারনে ৫দিন ধরে ঘর থেকে বের হতে পারছিনা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঘরে। এ মূহর্তে ঘরছেড়ে কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই। তাজনিমারখোলা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ আলী জানান, ৫দিনের ভারী বর্ষন অব্যাহত থাকায় ক্যাম্পের বেশির ভাগ রোহিঙ্গা ঝুঁকি নিয়ে রাত যাপন করছে। অনাহারে দিন কাটছে অনেক পরিবারের। ইতিমধ্যে অন্তত শতাধিক পবিবার আশ্রয়হীণ হয়ে পড়েছে বলে সে জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, আমি কয়েকটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। যেকোন ধরনের প্রাকৃতিক ঝুকি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি এনজিওদের তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ন সচিব) মোঃ আবুল কালাম জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাদ-বাকীদের তালিকা করে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

দেশবিদেশ /২৮ জুলাই ২০১৮/নেছার

Comments

comments

Posted ১:৫৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৮ জুলাই ২০১৮

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com