| রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের যে কোন নাগরিকের প্রধান তিনটি পরিচয় হচ্ছে জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও জাতির পিতা। একইভাবে পৃথিবীতে একটি দেশের পরিচয় স্বাক্ষ্য দেয় তাদের দেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও জাতির পিতা। তাই বাংলাদেশের যারা নাগরিক তাদের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও জাতির পিতার সম্মান অম্লান রাখতে হবে। এই জন্য জাতীয় পতাকার মাপ, রঙ ও উত্তোলনের নিয়মাবলী জেনেই পতাকা ব্যবহার করতে হবে। জাতীয় সংগীত যথাযথভাবে গাইতে হবে। আর জাতির পিতাকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবয়ব , ছবি , ভাস্কর্যকে যথাযথ সম্মানে অধিষ্টিত করতে হবে, করতে হবে সুরক্ষা। এমন বিষয়গুলো নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। কারন তারাই আগামিতে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে নেতৃত্ব দেবেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে হলে জাতীয় পতাকার মান যেমন সম্মুন্নত রাখতে হবে তেমনি জাতির পিতার সম্মান রাখতে হবে অম্লান। ১৩ ডিসেম্বর জেলার শ্রেষ্ট জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ঝিনুকমালা খেলাঘর আসর আয়োজিত জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ, রঙ ও উত্তোলনের নিয়মাবলী সম্বলিত প্রচার পত্র এবং জাতীয় পতাকা বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে কক্সবাজার শিশু পার্ক, কক্সবাজার শিশু হাসপাতাল, অরুণোদয় স্কুল ও কক্সবাজার ডিসি কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় ঝিনুকমালা খেলাঘর আসরের শিশুরা তাদের বক্তব্যে জানান, কক্সবাজারের ইতিহাসের অংশিদার বহুমূখী উন্নয়নের সফল জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন। জেলাবাসীর পাশাপাশি শিশুদের স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবেন শিশুবান্ধব জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন। শুধু কক্সবাজারের শিশুদের কাছে নয় সারাদেশের শিশুদের কাছে তাঁর এমন মহৎ কর্মকান্ডের জন্য তিনি অম্লান হয়ে থাকবেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: শাজাহান আলী, কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহন সেন, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নাছির উদ্দিন।
ঝিনুকমালা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সভাপতি সুবিমল পাল পান্না, ঝিনুকমালা প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক ডা: চন্দন কান্তি দাশ, প্রধান সমন্বয়কারি রাজিব দেবদাশ, ঝিনুকমালার কর্মকর্তা বিমল দে , প্রনু পাল, রোতাব চৌধুরী, আবছার উদ্দিন, আসিফ সাইফুল আবির, বৃষ্টি বড়–য়া, ঝুলন দাশ, নয়ন চক্রবর্তি, মিশু দাশগুপ্ত, সালাহউদ্দিন ও শিশু বক্তা সাবরিনা ইসলাম জিপা।
আগামি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দপ্তর, বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, দোকান ও ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ, রঙ ও উত্তোলনের নিয়মাবলী সম্বলিত প্রচার পত্র এবং জাতীয় পতাকা বিতরণ করা হবে।
Posted ১১:১৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
dbncox.com | ajker deshbidesh