লিটন কুতুবী,কুতুবদিয়া | সোমবার, ১৬ জুলাই ২০১৮
অমাবস্যার জোয়ারে ভাসছে কুতুবদিয়া উপকূল । বৈরী আবহাওয়া ও নি¤œচাপের ফলে সাগরে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২/৩ ফুট পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কুতুবদিয়া উপকূলের বেড়িবাঁধ ভেঙে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাহারপাড়া,কাজির পাড়া, তেলিপাড়া,বায়ুবিদ্যুৎ, কুমিরারছড়া জেলেপাড়া,বড়ঘোপ ইউনিয়নের দক্ষিণ মুরালিয়া,লেমশীখালী ইউনিয়নের পেয়ারাকাটা,উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের ফয়জানিরবাপের পাড়া,চর ধুরুং,পশ্চিম চর ধুরুং,কাইছারপাড়া,দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের আলী ফকির ডেইল,বাতিঘর পাড়া,কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বিন্দাপাড়া,উত্তর বড়ঘোপ এলাকাসহ প্রায় ১৪ কিলোমিটার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের নোনা পানি লোকালয়ে ডুকে পড়লে ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে শত শত পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।
গত সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুরে উত্তর ধরুং কাইছার পাড়া,চরধুরুং,দক্ষিণ মুরালিয়া, কুমিরারছড়া জেলেপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ভাঙ্গন বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারে নোনা পানি লোকালয়ে ডুকেব্যাপক এলাকা প্লাবিত হওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। কুতুবদিয়া উপজেলা আ,লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা থাকায় কুতুবদিয়া দ্বীপের ৬ ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রামের শত শত একর ফসলি জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে না। মারাত্বক ঝুঁিকপূর্ণ বেড়িবাঁধ জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট পাউবোর কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান। উত্তর ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আ.স.ম.শাহরিয়ার চৌধূরী জানান, বিগত ৭ বছর ধরে উত্তর ধুরুং এলাকায় বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা থাকায় অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে প্রায় সময় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয় প্রতিনিয়তই।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রতি বছর বেড়িবাঁধ মেরামত করলেও এ এলাকায় কোন কাজে আসছে না। বর্ষা এলেই উত্তর ধুরুং এলাকার লোকজন ঘরে বসবাস করতে পারে না। চলতি অমাবস্যায় ভাঙ্গন বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি গ্রামাঞ্চলে ডুকে পড়লে শত শত পরিবারের লোকজন পানি বন্ধি হয়ে পড়ে। অনেকে জোয়ার এলেই ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্র ও আত্বীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী জানান, দক্ষিণ মুরালিয়া ৯নং স্লুইচ গেইট এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে নোনা পানিতে ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় শত শত একর ফসলি জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে।
জরুরী ভিত্তিতে মুরালিয়া এলাকায় ভাঙ্গন বেড়িবাঁধ মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ জানান। মুরালিয়া এলাকার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন জানান, দক্ষিণ মুরালিয়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা থাকায় জোয়ারের নোনা জলে প্লাবিত হয়ে শত শত একর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের স্রোতে ১৫টি বসতঘর ভেঙে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) বান্দরবান জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী রকিুবুল হাছানের সাথে ভাঙ্গন বেড়িবাঁেধর ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, ৭১ পোল্ডারের ৪০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছর ৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। উক্ত মেরামত কাজ চলমান। এ ছাড়াও জরুরী ভিত্তিতে ঝুঁিকপূর্ন বাঁধ মেরামতের জন্য দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে তিনি প্লাবিত এলাকা পরির্দশনে আসবেন বলে নিশ্চিত করেন।
দেশবিদেশ /১৬ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ১০:২১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৬ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh