শহীদুল্লাহ্ কায়সার | শুক্রবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আগামিকাল শনিবার ৯ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলায় শুরু হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের ২য় রাউন্ড। জেলায় এবার প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে । সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে শিশুদের খাওয়াতে হবে ক্যাপসুল। সিভিল সার্জন কার্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত স্থায়ী, অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ টিমের সদস্যরা ক্যাপসুল খাওয়াবেন। কারাগার, হাসপাতাল, লঞ্চ ঘাট, বাস টার্মিনালসহ জনসমাগম ঘটে এমন স্থানেও বিনামূল্যে খাওয়ানে হবে ক্যাপসুল। বিগত ৪ মাসের মধ্যে ক্যাপসুল খাওয়া শিশুদের আগামিকাল পুনরায় ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রয়োজন হবে না।
ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে গতকাল এক সাংবাদিক অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। বিকেল সাড়ে ৩ টায় কক্সবাজার সদর উপজেলা ইপিআই সেন্টারে আয়োজিত সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, মানুষের শরীরে ভিটামিন ‘এ’ ছাড়া অন্য ভিটামিন নিজ থেকে তৈরি হয়। এ জন্য শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরী। জেলার সব শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেতে পারে তাই এবারের ক্যাম্পেইনের প্রধান লক্ষ্য।
এই ক্যাপসুলের কোন পাশর্^প্রতিক্রিয়া নেই। ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী যে কোন শিশু এই ক্যাপসুল খেতে পারবে। তবে, গুরুতর অসুস্থ শিশুদের এই ক্যাপসুল না খাওয়ানো ভালো। এতে ক্যাম্পেইনে খারাপ প্রভাব পড়ে। জন্মের পর যতো দ্রুত সম্ভব শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে হবে। ৬ মাস পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ পান করালেই যথেষ্ট। এই সময় পর্যন্ত পানি পানেরও প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, ক্যাপসুলের কোন অভাব নেই। জেলায় অবস্থানরত শিশুদের পাশাপাশি ভ্রমণে আসা শিশুরা ক্যাপসুল খেতে পারবে। এই ক্যাপসুল খাওয়া শিশুরা অন্ধত্ব, ডায়রিয়া, হাম ও অপুষ্টিজনিত মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পাবে। সুষ্ঠুভাবে ক্যাম্পেইন পরিচালনায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে খোলা হবে কন্ট্রোল রুম। ক্যাপসুল খাওয়া সংক্রান্ত কোন সমস্যা দেখা দিলে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার পাশাপাশি ক্যাপসুল সংক্রান্ত যে কোন ধরনের গুজবে কান না দিতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান সিভিল সার্জন।
অবহিতকরণ সভায় দেয়া তথ্য মতে, আগামিকাল একযোগে জেলার ৮ উপজেলার ৭১ টি ইউনিয়নে ক্যাপসুল খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করবে সিভিল সার্জন কার্যালয়। কক্সবাজার পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে পৃথক ইপিআই কর্মসূচি চলমান। ফলে কক্সবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে পৃথকভাবে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।
৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৪ হাজার ১৮৪ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নীল রঙের ক্যাপসুল। ১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বয়সের শিশুরা খাবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লাল রঙের ক্যাপসুল। অভিভাবকদের নিজ নিজ শিশুদের নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
সব শিশু যাতে ক্যাপসুল খেতে পারে সেজন্য এবার পুরো জেলায় স্থাপন করা হচ্ছে ১৯’শ ৫১টি টিকাদান কেন্দ্র। ৯ টি স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি থাকবে ১৮’শ ৪০টি অস্থায়ী, ২৭ টি ভ্রাম্যমাণ এবং ৭৫টি অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্র। ২৩৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ২১১ জন পরিবার কল্যাণ সহকারীর পাশাপাশি ক্যাপসুল খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করবেন ৫ হাজার ৭ জন স্বেচ্ছাসেবক। তাঁদের তত্ত্বাবধানের জন্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন ২’শ ১৯ জন তত্ত্বাবধায়ক।
Posted ১:১৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh