| বৃহস্পতিবার, ০৭ জুলাই ২০২২
সাইফুল ইসলাম:
জেলায় ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানীর পশুর হাট পুরোদমে জমে উঠেছে। সামর্থ্যবান মুসলমানরা পছন্দের পশু কোরবানী দিতে প্রিয় পশু ক্রয় করতে ছটুছেন এক হাট হতে অন্য হাটে। পশুর হাটে এখন গরু, মহিষ, ছাগলে ভরপুর। তারপরেও গত বছরের চেয়ে এবার চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরু মহিষ।
এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার একমাত্র পশুর হাট কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের পাশে নারিকেল বাগান সংলগ্ন রেললাইন মাঠে বসেছে। এই পশুর হাটটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে গত শুক্রবার। প্রথমদিকে পশুর হাটটি জমে না উঠলেও গত বুধবার থেকে জমজমাট হয়ে উঠেছে। যেখানে কোরবানীর দিন ভোর পর্যন্ত দিন-রাতে ২৪ ঘন্টা বেচাকেনার সুযোগ থাকবে। হাটে পৃথকভাবে এক পাশে গরু-মহিষ অন্য পাশে ছাগল বিক্রি করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দু’দিন ধরে বেচা-বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালোই। তবে মায়ানমার থেকে গরু আমদানি বন্ধ করে দেয়ায় কোরবানী পশুর দাম উর্ধ্বমূখী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশাপাশি উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার কোরবানীর মাংস যোগান দিতে এনজিও সংস্থা গুলো পশুর হাটে নেমে পড়ায় শেষ সময়ে পশু সংকটে পড়তে পারে বলে জানান কক্সবাজারের সচেতন মহল।
এদিকে জেলার প্রধাতম পশুর বাজার খ্যাত ঝিলংজার খরুলিয়া গরু বাজার ঘুরে দেখা যায়- গরু, মহিষ, ছাগলে ভরপুর ঐতিহ্যবাহী এই গরু বাজার। এর আগে গত মঙ্গলবার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও বাজারে রেকর্ড কোরবানী পশুর হাট বসেছিল। একই অবস্থা চকরিয়ার ইলিশিয়া গরু বাজার , কোটবাজার, মরিচ্যা বাজারে।
জেলার বেশ ক’টি পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়-কোরবানী পশুর দাম বেড়েই যাচ্ছে। প্রায় আড়াই লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা পরিবার কোরবানী পশুর মাংস যোগান দিতে টান পড়তে পারে স্থানীয় চাহিদায়। ইতোমধ্যে এর রেশ পড়েছে কোরবানীর পশুর হাটে। এবারে শুরু থেকেই পশুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’মন ওজনের গরু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। আড়াই মণ ওজনের গরুর দাম ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আর চার থেকে ৬ মন ওজনের গরু মহিষের দাম থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাকাচ্ছে পশু খামারীরা।
অন্যদিকে কক্সবাজার পৌরসভার একমাত্র পশুর হাট রেললাইন মাঠে কোরবানী পশু কিনতে আসা ক্রেতা জসিম উদ্দীন জানান-এবার পশুর হাট দেখে মনে হচ্ছে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিংবা খামারীরা ভালই পশুর প্রতি যত্নবান ছিল। সব পশুর সৌন্দর্য্য এক কথায় চমৎকার। তবে অন্য বছরের চাইতে দাম বেশ চড়াই মনে হচ্ছে।
খামারী আব্দু সালাম জানান- গেল বছর বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেও লভ্যাংশের খাতা শূণ্য ছিল। আশা করছি-এবার পশুর দাম ভালই পাব।
পৌরসভার একমাত্র পশুর হাটের ইজারাদার শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, শহরের সবচেয়ে বড় এই পশুর হাটের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকও মাঠে রয়েছে। যেখানে কোরবানীর দিন ভোর পর্যন্ত দিন-রাতে ২৪ ঘন্টা বেচাকেনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া পশুর হাটে রয়েছে জালনোট শনাক্তকারী বুথ, পুলিশ বক্স, মেডিকেল টিম, খাবার হোটেল ও টয়টেলের ব্যবস্থা।
Posted ১১:৫৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ জুলাই ২০২২
dbncox.com | ajker deshbidesh