দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | রবিবার, ২০ জানুয়ারি ২০১৯
শনিবার রাতে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা হিম উৎসবের অনুষ্ঠানস্থলে অভিযান চালায়।
এই সময় মাদক সেবনের দায়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত একাধিক ব্যান্ডের কয়েকজন সদস্যকে আটক করে। এছাড়া গাঁজা সেবনকালে আরো ৮ জনকে আটক করা হয়। পরে অবশ্য মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় প্রশাসন।
এদিকে মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনে এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ক্যাম্পাসে ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি ‘হিম উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনদিনের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরেই মাদকের
ছড়াছড়িতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা।
তবে অনুষ্ঠানের শেষ দিন শনিবার সন্ধ্যায় সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে এই মাত্রা ছিলো অনেক বেশি। পরে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালায় প্রক্টরিয়াল টিম।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হিম উৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে একাধিক ব্যক্তিকে মুক্তমঞ্চের পেছনে মদ্যপান ও মদ ভাগাভাগি করতে দেখা গেছে। এছাড়া মঞ্চের আশেপাশে জটলা করে বিভিন্ন স্থানে গাঁজার আসর জমায় বহিরাগতরা। এসব আসরে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদেরও দেখা গেছে।
প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমরা অভিযান চালিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নূরকে প্রকাশ্যে মদ্যপান ও বিতরণরত অবস্থায় আটক করি। এ সময় তার সঙ্গে নারীসহ আরো ১২-১৫ জনকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
এছাড়া প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত আট শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে আটককৃত সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রক্টর।
মাদক বিরোধী অভিযানের বিষয়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নিয়েছি। মুক্তমঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে এভাবে প্রকাশ্যে বহিরাগতদের মাদক সেবন ও মাদক গ্রহণ খুবই দুঃখজনক। এসব বিষয়ে আয়োজক কমিটিকে আরো সচেতন হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
Posted ১১:১১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২০ জানুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh