মঙ্গলবার ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

জানুয়ারিতে দেশে ভ্যাকসিনের প্রথম ৫০ লাখ ডোজ আসছে

  |   সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

জানুয়ারিতে দেশে ভ্যাকসিনের প্রথম ৫০ লাখ ডোজ আসছে

দেশবিদেশ নিউজ ডেস্ক:

আগামী জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার তৈরি করোনার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসবে বলেও আশা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আনার জন্য বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে ভ্যাকসিন ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আজ রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরে এ ‍চুক্তি করা হয়।

পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৫ নভেম্বর এ বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয় তাদের সঙ্গে। সেখানে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, অক্সফোর্ডের এ ভ্যাকসিন সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কিনে নেওয়া হবে। সেখানে অনেক শর্তও ছিল। তার মধ্যে একটি শর্ত ছিল ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি করতে হবে, আজ সেটা করে ফেলা হলো এবং সেটা সেরাম ইনস্টিটিউটকে সেটা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা তাদের কাজ সম্পন্ন করে আবার আমাদের দিতে পারে। এরপর পরবর্তী ধাপ অনুযায়ী কাজ হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, তবে এ ডোজের মধ্যে সব একবারে আসবে না। প্রথম ধাপে আসবে ৫০ লাখ ডোজ। এরপর প্রতি ধাপে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন আসবে।

তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, জানুয়ারি মাসের কোনও একসময় এই ভ্যাকসিন আনতে পারবো, যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন হয়ে যায়। সিরাম ইনস্টিটিউট আশা করছে তারা অনুমোদন পেয়ে যাবে। আর অনুমোদন পেয়ে গেলেই আমাদের তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে নিয়ে আসবো। ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা হয়েছে, রাখার ব্যবস্থা হয়েছে এবং ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যে জনবল দরকার, তার প্রশিক্ষণও চলছে। স্থানীয়ভাবে যা যা প্রয়োজন হবে, স্বাস্থ্য অধিদফতর সেগুলোর ব্যবস্থা করছে। সবগুলোই প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অর্থাৎ আমাদের সব প্রস্তুতি আশা করি এরইমধ্যে সম্পন্ন করতে পারবো।

দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদনের বিষয়ও আছে। আশা করছি শিগগিরই অনুমোদন পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ তিন কোটি ডোজ একবারে আসবে না। আসবে ছয় মাসে। অর্থাৎ প্রতিমাসে আমাদের তারা ৫০ লাখ করে ডোজ দেবে। আমরা সেই ৫০ লাখ ডোজ ২৫ লাখ মানুষকে দিতে পারবো।

প্রতিটি মানুষের জন্য দুটি করে ডোজ প্রয়োজন হবে বলেও জানান তিনি ।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এডিবি/জেইউ।

Comments

comments

Posted ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com