শহীদুল্লাহ্ কায়সার ॥ | শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র এক দিন বাকি। আজ শুক্রবার ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮ টায় ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হবে। আজ সকাল ৮ টার পর থেকে প্রার্থীরা আর কোন ধরনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। গতকাল তাই মিছিলে মিছিলে মুখরিত ছিলো কক্সবাজার শহরসহ পুরো জেলা।
প্রার্থীদের জন্য ছিলো বিশেষ দিন। এ দিন অন্য দিনগুলোর চেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় কেটেছে প্রার্থীদের। বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র মতো বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন মনোনীত প্রার্থীরা গতকাল স্¦-স্ব আসনে পার করেছেন অত্যন্ত ব্যস্ত সময়। ছোট দল মনোনীত প্রার্থীরাও নিজেদের মতো করেই চালিয়েছেন প্রচারণা।
প্রশাসনিক তৎপরতাও ছিলো অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক বেশি। গতকাল ২৭ ডিসেম্বর সকালে জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ে পোলিং এজেন্টদের দেয়া হয় বিশেষ প্রশিক্ষণ। এ ছাড়াও সম্পন্ন করা হয় নির্বাচনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
ইতোমধ্যেই নির্বাচনের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়। উপজেলাগুলোতে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে ব্যালট পেপার ও ব্যালট পেপার বক্স, সিল, ফরম, প্যাকেটের মতো নির্বাচনী সামগ্রী। ২৬ ডিসেম্বর বিশেষ নিরাপত্তায় এসব সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে মাঠে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যদের। এ ছাড়া বিজিবি, পুলিশ, র্যাব সদস্যরা পালন করছেন শান্তি পূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্নের গুরু দায়িত্ব।
এসব নির্বাচনী সামগ্রির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে বিশেষ স্ট্রাইকিং ফোর্স। ২৬ ডিসেম্বর সকালে জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে এই টিমের সদস্যদের দেয়া হয় বিশেষ প্রশিক্ষণ। ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ পর্যন্ত ব্যালটের সুরক্ষা এবং ভোট গ্রহণকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি তাদের প্রশিক্ষণে শেখানো হয়। এ ছাড়া ইতিপূর্বে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস। ৮ জেলার নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ বশির আহমেদ।
Posted ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh