তারেকুর রহমান | রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২
ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি শেষে কক্সবাজার থেকে পর্যটক কমতে শুরু করেছে। গেল শনিবার (১৬ জুলাই) থেকে অগ্রীম হোটেল কক্ষ বুকিংয়ে তেমন ব্যস্ততা নেই, হোটেল-মোটেল গুলোতে পর্যটকের অবস্থান ৫০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১৭ জুলাই) কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, সীগাল, লাবণী ও কবিতা চত্বর পয়েন্টে পর্যটকের ভিড় তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। ঈদের দুয়েকদিন পর পয়েন্টগুলোতে যে ব্যস্ততা ছিল তা কমে গেছে। এবং দিন দিন আরো কমে যাবে বলে ধারণা করছেন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঈদের ২দিন পর থেকে কক্সবাজারে প্রচুর পর্যটক ছিল। এমনকি ঈদের ৫ম থেকে ৭ম দিন কক্সবাজারে পর্যটকের স্রোত ছিল। সমুদ্রসৈকতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। কিন্তু ছুটি শেষে আস্তে আস্তে পর্যটক কমতে শুরু করেছে। কর্মব্যস্ততায় পর্যটকরা ঘরমুখী হচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘গেল শনিবার হোটেল-মোটেলে ৫০ শতাংশ পর্যটক ছিল। আজ রোববার থেকে সেই সংখ্যা বর্তমানে ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। ঈদের ছুটি ছাড়াও বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটিতে সাধারণত পর্যটকরা কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। সবমিলিয়ে ভ্রমণপিপাসুরা এখন বাড়ি ফিরছেন।’
বিচকর্মীদের সুপারভাইজার মো. মাহবুব আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘গেল শনিবারও পর্যটকে টইটম্বুর ছিল সমুদ্রসৈকত। পর্যটকের ভিড়ে সৈকতে হাঁটার মতো অবস্থা ছিল না। কিন্তু আজ থেকে পর্যটক কমতে শুরু করেছে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকের আনাগোনা আগের চেয়ে কম দেখা যাচ্ছে।’
কুমিল্লা থেকে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শাহেদ আহমেদ বলেন, ‘ঈদুল আজহার ছুটিসহ দীর্ঘ ছুটি কাটালাম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে। এবার ফেরার পালা। ওইদিকে অফিসও খুলেছে তাই চলে যেতে হচ্ছে। এবার কক্সবাজারে অনেক মজা করলাম। অনেক মিস্ করবো সমুদ্রসৈকতে কাটানো মুহুর্তগুলো।’
রংপুর থেকে আসা নবদম্পতি শাকিল-তিশা বলেন, ‘গত শুক্রবার এসে আজ চলে যাচ্ছি। এই ২দিন কক্সবাজারের অনেক জায়গায় ঘুরছি। স্পেশাল শুঁটকি ভর্তা, তাজা শাক-সবজি দিয়ে খাওয়া-দাওয়া করলাম। অনেক ভালো লেগেছে। আরো দুয়েকদিন থাকতে মন চাইলেও ছুটি শেষ হওয়ায় চলে যেতে হচ্ছে। তবে আবারো আসবো সমুদ্রস্নান ও বালিয়াড়িতে আনন্দে নিজেতে মাতিয়ে তুলতে।’
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষে পর্যটকরা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাড়ি ফিরছেন। এজন্য রোববার থেকে পর্যটক কিছুটা কম। এরপরও যারা ছুটি নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে আসতে চান তাদের পদচারণায় মুখর থাকবে সমুদ্রসৈকত এই আশা রাখি।’
তিনি বলেন, ‘পর্যটকের সংখ্যা কোনো ব্যাপার না। নিজেদের সুবিধা মতে যে সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে আসুক না কেন; তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি পর্যটন স্পটে কঠোর নজরদারি রেখেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।’
কোনো পর্যটক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হলে ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স, তথ্য কেন্দ্র বা ট্যুরিস্ট পুলিশ ভবনে এসে জানালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
Posted ৮:১৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২
dbncox.com | ajker deshbidesh