শনিবার ১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম
সাবেক এমপি খোরশেদ আরার অন্যন্য দৃষ্টান্ত

গ্রামবাসীর জন্য ছেড়ে দিলেন ১২ একর জমি

দীপক শর্মা দীপু   |   বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

গ্রামবাসীর জন্য ছেড়ে দিলেন ১২ একর জমি

গ্রামবাসীর জন্য ১২ একর জমি ছেড়ে দিয়ে নজির স্থাপন করেছেন সাবেক এমপি খোরশেদ আরা হক । তিনি ২৯ অক্টোবর পশ্চিম খুনিয়াপালং এ উপস্থিত হয়ে বন্দোবস্তির জন্য তার প্রস্তাবিত জমি ছেড়ে দেয়ার ঘোষনা দেন। এতে উৎফুল্ল গ্রামবাসী খোরশেদ আরা হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শতশত গ্রামবাসী তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। খোরশেদ আরা হকের এমন মহত্বকে চিরস্মরনীয় করে রাখবেন গ্রামবাসী।
রামুর পশ্চিম খুনিয়াপালং এলাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সাবেক এমপি খোরশেদ আরা হক প্রায় ১২ একর সরকারি খাস জমি বন্দোবস্তি পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ধেছুয়াপালং ইউনিয়ন ভূমি অফিস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করার জন্য জমিটি উপযুক্ত বলে খোরশেদ আরা হকের পক্ষে প্রতিবেদন প্রদান করেন। উক্ত জমিতে এলাকাবাসির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে প্রায় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

এই ঘটনায় গ্রামবাসী তাদের ঘর হারাবে এমন আতংকে থাকে। কারন সরকারি জমিতে যে কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড হতে পারে বা সেবামুলক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারে। এতে কারো আপত্তি থাকলেও তা মানা হয়না। শতশত গ্রামবাসী উচ্ছেদ আতংকে থাকে। অনেক গরীব পরিবার কোথায় আশ্রয় নেবে এমন ভেবে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
প্রস্তাবিত উক্ত সরকারি জমিতে ৬০ টি বসতবাড়ি রয়েছে এমন বিষয়ে দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এই সংবাদ দেখে খোরশেদ আরা হক তাৎক্ষনিকভাবে জানান, বসতঘর থাকলে এই জায়গা তিনি নেবেন। মানুষের ঘর উচ্ছেদ করে কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবেনা।
প্রস্তাবিত জমিতে বসতবাড়ি আছে কিনা তিনি তা দেখতে সরেজমিনে পশ্চিম খুনিয়াপালং গ্রামে যান। তিনি এই গ্রামে অসংখ্য বসতবাড়ি দেখার পর গ্রামবাসীকে সমবেত করেন। এরপর গ্রামবাসী সবার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সাবেক এমপি খোরশেদ আরা হক জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার জন্য প্রস্তাবিত জমিতে ঘর বাড়ি রয়েছে তা তিনি জানতেন না। এখানে অনেক বসতি রয়েছে। তাই তিনি এই জমি নেবেন না। এই জমি গ্রামবাসীর জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই জমিটি যাতে গ্রামবাসীর জন্য বরাদ্ধ করা হয় এই জন্য তিনি সুুপারিশ করবেন এবং প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করবেন।
এই ঘোষনার পর এলাকাবাসী উৎফুল্ল হয়ে পড়েন। তারা খোরশেদ আরা হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উক্ত গ্রামের সর্দার শফিউল আলম জানান, সরকারি জমিতে সেবামুলক প্রতিষ্ঠান হলে তা সরকার তার পক্ষে দেন। যে কোন এমপি বা মন্ত্রী এই জমি বন্দোবস্তির আবেদন করলে তা ছাড় দিতেননা। যে কোন ভাবে এই জমি সরকার থেকে নিয়ে দখলে নিতো। কিন্তু খোরশেদ আরা হক এই জমি গ্রামবাসীর জন্য ছেড়ে দিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন, মানবতার পরিচয় দিয়েছেন। তার কাছে গ্রামবাসী আজীবন ঋনী থাকবেন। পরে গ্রামবাসী খোরশেদ আরা হককে অভিসিক্ত করেন।

Comments

comments

Posted ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com