সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও | শনিবার, ২৮ জুলাই ২০১৮
বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী জলদাশ পাড়া এলজিইডি’র প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার অভ্যান্তরীন পাকা সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি এমন অবস্থায় থাকলেও সংস্কার কিংবা মেরামতের উদ্যোগ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারীদের। দিনদিন আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সড়কটি হয়ে পড়ছে চলাচলের অনুপযোগী। ঘটছে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা। চকরিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর (এলজিইডি) সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার খুটাখালী-জলদাশ পাড়া এলজিইডি’র ৯ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ভাল সড়কের দৈর্ঘ রয়েছে প্রায় ৩ কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে সড়ক মেরামত না করায় প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কই এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ অভ্যান্তরীন সড়কের মধ্যে জলদাশ পাড়া হয়ে লাল গোলা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে কাপেটিং উঠে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে সড়কের দু’পাশ ভেঙ্গে সিলকোট ও দুই পাশের স্লোপের মাটি পড়ে গেছে।
যার কারনে সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাও সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও ওই সড়কে ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। সড়কের গাড়ি চালকরা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে গাড়ী চালাতে হচ্ছে। টকটকি ঘোনা,বহলতলী মৎস্য ঘেরের প্রতিদিন কয়েক শত শ্রমিক চলাচল করে। বিভিন্ন স্থানে ইটের খোয়া উঠে খানাখন্দে পরিনত হওয়ায় মাছ পরিবহনে সিমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান জানান, সড়কের উত্তর ফুলছড়ি হতে লাল গোলা পর্যন্ত ইতিমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া খুটাখালী বাজার থেকে জলদাশ পাড়া যাওয়ার সড়ক জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন বলে তিনি দাবী করেন। চকরিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী জানান, ইউনিয়নে বর্তমানে যে সড়ক খুবই খারাপ অবস্থায় আছে সে সড়ক মেরামতের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সড়কের কাজ শুরু করা হবে।
দেশবিদেশ /২৮ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৮ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh