টেকনাফ অফিস | বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯
গত কয়েকদিন ধরেই ইয়াবা কারবারীদের আত্মসমর্পণের খবরে জেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবরের পাশাপাশি সাধারন মানুষের মাঝেও নানা জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। এরমাঝে যে বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে তা হলো “কোন শর্তে ইয়াবা কারবারীরা আত্মসমর্পণ করছে”। এনিয়ে সরব আলোচনা চলছে সর্বত্র। ইয়াবা কারবারীরা ঢাকঢোল পিটিয়ে আত্মসমর্পণ করতে গেলেও সরকারের দায়িত্বশীল মহলে এব্যাপারে কোন ঘোষনা না আসায় মূলত এ জল্পনা-কল্পনার সূত্রপাত হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
অনেকেই বলছেন অপরাধ বিবেচনায় বড় কারবারী থেকে ছোট কারবারী স্থর ভাগ করে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে কারাগারে প্রেরন করা হবে। এই সাজার মেয়াদ সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন ও হতে পারে। আবার অনেকে বলছেন তাদেরকে নাম মাত্র সাজা প্রদান করা হবে।
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হাজার কোটি টাকার সম্পদের কি হবে তা নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। কেউ বলছেন তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। কেউ কেউ ধারনা করছেন সম্পদের কিছু অংশ বাজেয়াপ্ত করা হবে। এধরনের হাজারো আলোচনায় সরব হয়ে থাকছে টেকনাফের হাট-বাজার, চায়ের দোকান সর্বত্র।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যুব নেতা সাইফুদ্দিন খালেদ জানান, তিনি মনে করেন ইয়াবা কারবারীদের অর্থ-সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা দিয়ে সারাদেশে ভালো মানের রিহ্যাব সেন্টার তথা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র গড়ে তোলা দরকার। যাতে দেশের লাখ লাখ ইয়াবাসক্ত যুবক-তরুণকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া যায়। জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন কঠিন শর্তে ইয়াবা কারবারীদের আত্মসমর্পণ করা হবে।
Posted ১১:৫৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh