দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | রবিবার, ২৬ আগস্ট ২০১৮
পকেটে মাদক গুঁজে দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া পুলিশের কাছে এখন ডালভাত। প্রায় নিয়মিতই ঘটে চলছে নিরীহ মানুষের ওপর এমন পুলিশি নির্যাতন। তবে এবার পার পেল না নাটোর নাটোর সদর উপজলোর ছাতনী ইউনিয়নে যাওয়া তিন পুলিশ। এক ইউপি সদস্যের ইন্ধনে এক কৃষককে মাদক ব্যবসায়ী সাজাতে গিয়ে গণধোলাই খেয়েছে পুলিশের তিন সদস্য ও এক সোর্স।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ইউনিয়নের ৫ নং ওর্য়াড শিবপুর গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলীর বাড়িতে তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালায় সদর থানার এএসআই আবুল কালামসহ পুলিশের তিন সদস্য। আইয়ুবের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে শুরু করে। এমন সময় বিপদ বুঝে পালিয়ে যায় পুলিশের সাথে থাকা চার র্সোস। কিন্তু এলাকাবাসী একজোট হয়ে ৩ পুলিশ সদস্যকে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ কাজী জালাল উদ্দীন আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করেন।
ভুক্তভোগী আইয়ুবের অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং যুবলীগের ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমরান আলীর ইন্ধনে পুলিশ তার বাড়িতে ঢুকে এ তাণ্ডব চালায়। ঘটনার সময় পুলিশের সাথে থাকা চার সোর্স গরু বিক্রির ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তবে ওই চার ব্যক্তিকে চেনে না পুলিশ।
এদিকে ভুক্তভোগী কৃষক আইয়ুব আলী অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকায় কোরবানীর হাটে তিনটি গরু বিক্রির ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা এনে রেখেছিলেন বাড়িতে। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় তার বাড়ির গেট ধাক্কাতে থাকে কয়েকজন ব্যক্তি। ভেতর থেকে পরিচয় জানতে চাইলে জানায় তারা পুলিশ। এই কথোপকথনের মধ্যেই বাড়ির দেয়াল টপকে ঢুকে পড়ে চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তি। দরজা খুলতেই দেখা যায়, নাটোর সদর থানা পুলিশের এএসআই আবুল কালাম ও তার সঙ্গীয় র্ফোস।
তারা দাবী করে, বাড়িতে ইয়াবা রাখা আছে। এ সময় কৃষক আইয়ুব, তার স্ত্রী, ছোট মেয়ে ও ছেলে ছিলেন বাড়িতে। স্ত্রী ও মেয়েসেহ আইয়ুবকে একটি ঘরে রেখে আইয়ুবের ছেলে মাসুদ রানাকে পেটাতে শুরু করে এএসআই কালাম। ‘বাবা (ইয়াবা) কই’ বলে মারতে মারতে মাসুদকে বাড়ির দরজার সামনে আনে কালাম। এরই ফাঁকে আইয়ুব আলীর ঘরে ঢুকে আলমারীর ভেতরে থাকা ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় পুলিশের তিন সোর্স।
মাসুদ রানাকে মারতে মারতে বাড়ির বাইরে আনার সময় তার চিৎকারে জড়ো হয় এলাকাবাসী। তাদের প্রতিবাদের মুখে মাসুদকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরই মধ্যে পুরো ঘটনা জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা একজোট হয়ে তিন পুলিশ ও অজ্ঞাত একজনকে ধরে গণধোলাই দয়ে দিয়ে আটকে রাখে।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দীন আহমদে বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ বিব্রত। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগী থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।’
Posted ৯:৫০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৬ আগস্ট ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh