লিটন কুতুবী, কুতুবদিয়া | মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই ২০১৮
কুতুবদিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জনবল সংকট থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে অফিস কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন ধরে এ অফিসে জনবল সংকটের কারণে অধিদপ্তরের ঘোষিত কাজ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা দূরহ হয়ে পড়েছে। শিক্ষকদের অবসর ফাইল তৈরীতেও বিড়ম্বনা পোহাতে হয় প্রচুর। প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের পদগুলোর মধ্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একজন,সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দুইজন,উচ্চমান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক একজন, অফিস সহকারি একজন, হিসাব সহকারি একজন, অফিস সহায়ক একজন। সৃষ্ট পদগুলোর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একজন, সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একজন, হিসাব সহকারি একজন কর্মরত আছেন।
শুন্য পদের মধ্যে সহকারি শিক্ষা অফিসার একজন, উচ্চমান সহকারি ও হিসাব রক্ষক একজন,অফিস সহকারি একজন,অফিস সহায়ক একজন। এছাড়াও ৩২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরীর ২৪টি পদ শুন্য রয়েছে। সূত্রে আরো প্রকাশ, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৫ হাজার ৫শ ১১জন শিক্ষার্থী রয়েছে। কুতুবদিয়া উপজেলায় ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০১জন শিক্ষকের পদের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন ২৬২ জন শিক্ষক। আরো ৪৫জন শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তিন শতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন ভাতা,উৎসব ভাতা,সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচী,হিসাব নিকাশ তৈরী ও বেতন বিল করতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কতৃর্ৃৃপক্ষের।
শিক্ষা অফিসে বর্তমানে পেকুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মরত উচ্চমান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ লিয়াকত কুতুবদিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি পেকুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কাজ শেষ করে প্রতি মাসের একবার অথবা দুইবার কুতুবদিয়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কাজগুলো করে থাকেন বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান। অতীব বেশী প্রয়োজন হলে ফাইল নিয়ে পেকুয়ায় গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে শিক্ষক ও কর্মচারীদের।
সহকারি শিক্ষা অফিসার ওমর ফারুক জানান, কুতুবদিয়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কাজ গতিশীল করার জন্য অন্তত একজন উচ্চমান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয় বলে তিনি জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরে যাওয়া শিক্ষক জানান,তিনি অবসর জনিত কাগজপত্র তৈরী করতে যথেষ্ট বিডম্বনা পোহাচ্ছেন। উচ্চমান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক না থাকায় বেশীর ভাগ কষ্ট পাচ্ছে শিক্ষকরা। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতি শুন্যপদগুলো পূরণের জন্য অনুরোধ জানান।
দেশবিদেশ /১৭ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ১০:৩৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh