নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯
কুতুবদিয়ায় আওয়ামী লীগে পা ঢুকিয়েছে নাশকতার মামলার আসামী জামায়াত কর্মী সিরাজদৌল্লাহ। গত ২৮ অক্টোবর কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগে বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন এই নাশকতার মামলার আসামী সিরাজদৌল্লাহ। এ নিয়ে আওয়ামী লীগে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সিরাজদৌল্লাহর পিতা মো: ইয়াকুব আলী একজন তালিকাভুক্ত রাজাকার। সিরাজ নিজে সক্রিয় জামায়াত কর্মী। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আজাদের পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচন পরিচালনা করেন। ছাত্র শিবিরের সাথী ছিলেন। দাঁড়িপাল্লায় ভোট না দেয়ার কারনে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উপর হামলা করেন। ২০১৬ সালে নৌকার পক্ষে ভোট পড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মারধর করেন সিরাজ। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে একাধিক। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি ও প্রধানমন্ত্রী ছবি পুড়িয়েছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নাশকতার মামলা। তার বড় ভাই কক্সবাজার শহর জামায়াতের সাবেক আমির ও বর্তমান জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসু আলম বাহাদুর, ছোট ভাই উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ছৈয়দ মো: বশির মেম্বার, আরেক বড় ভাই উপজেলা জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছৈয়দ নুর। তার পুরো পরিবার জামায়াত পরিবার হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
আর সেই রাজারকারের সন্তান নাশকতার মামলার আসামী জামায়াত কর্মী কেমন করে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অনুপ্রবেশ করেছে তা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা বি,এ জানান, সিরাজ একজন রাজাকারের সন্তান। সে নিজে জামায়াতের রাজনীতির সংগে জড়িত। তার পুরো পরিবার জামায়াত বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। নাশকতার মামলার এই আসামী সিরাজকে বর্ধিত সভায় দাওয়াত করা হয়নি। কিন্তু কৌশলে সে সভায় উপস্থিত হয়। তবে তাকে বর্ধিত সভায় উপস্থিত করার জন্য আওয়ামী লীগের কোন নেতা জড়িত আছে। শুধু সিরাজ নয় লেমশিখালী ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সভাপতি নেজাম ও বিএনপি নেতা আকতার হোসেনও আওয়ামী লীগে পা ঢুকিয়েছে। অনুপ্রবেশ করতে তাদের দৌড়ঝাঁপ বেড়ে গেছে। এমন কি তারা আওয়ামী লীগের প্রধান পদে আসার জন্য লবিং শুরু করেছে। তারা আওয়ামী লীগের কিছু নেতাদের টাকা দিয়ে কিনতে মাঠে নেমেছে। তিনি এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান।
Posted ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh