নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৬ নভেম্বর ২০১৮
কক্সবাজার সদরের খরুশকুল ইউনিয়নে পরিকল্পিতভাবে কিশোর মো. মামুন (১৪) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (৫ নভেম্বর) নিহত মামুনের চাচা ফজলুল হক বাদী সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলায় প্রধান আসামি জিয়াউদ্দিন শিবলু (৩০) ও সাহাব মিয়াকে আটক করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রোববার (৪ নভেম্বর) দুপুরে নিহত মো. মামুন ও তার তিন সহযোগী ইজিবাইক (টমটম) নিয়ে পাশ্ববর্তী পিএমখালী ইউনিয়নে যায়।
পিএমখালীতে দুর্বৃত্তের কবলে পড়ে তারা। সেখানে জিয়াউদ্দিন শিবলুর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত তাদেরকে আটকে রাখে। পরে দুর্বৃত্তদের জিম্মিদশা থেকে পালিয়ে যায় মামুন। কিন্তু মামুনের অপর দুই সহযোগীকে মামুনকে ধরিয়ে দেয়ার শর্তে ছেড়ে দেয়। এক পর্যায়ে খরুশকুল ইউনিয়নের কোনারপাড়া এলাকার মসজিদের সামনে থেকে রোববার বিকেল ৫টার দিকে মামুনকে আবারও আটক করে দুর্বৃত্তরা।
এরপর তাকে মসজিদের পাশ্ববর্তী জাকের হোসেন প্রকাশ বাক্কুর টমটম গ্যারেজে আটকে রাখে। পরে খবর পেয়ে মামুনের চাচা ফজলুল হক ও অন্যান্যরা ওই গ্যারেজে গেলে মামুনকে বৈদ্যুতিক তারের সাথে জড়িয়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মামুন মারা যায়।’
মামলার বাদী মামুনের চাচা ফজলুল হক বলেন, মামুনকে মারধরের এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করেছে। তিনি ভাতিজার হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বলে, কিশোর মামুন নিহতের ঘটনায় সোমবার হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। এরমধ্যে প্রধান আসামিসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, মামুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু হত্যার প্রকৃত কারণ এখনো উৎঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত চলছে। নারী ঘটিত কোন কারণ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করেন তিনি।
Posted ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ নভেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh