নুরুল করিম রাসেল, টেকনাফ | বৃহস্পতিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮
কারাভোগ শেষে ১৭ জন বাংলাদেশীকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার। মিয়ানমারের মংডুতে পতাকা বৈঠক শেষে বুধবার সকাল ১১টায় তাদেরকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) কাছে হস্তান্তর করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আছাদুদ জামান চৌধুরী ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১৭ বাংলাদেশীকে নিয়ে ট্রানজিট জেটি দিয়ে টেকনাফে ফিরেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, সাগর পথে মালয়েশিয়া গমন ও মৎস্য শিকার করতে গিয়ে মিয়ানমার জলসীমায় চলে গেলে তাদেরকে আটক করে সেদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। সাজার মেয়াদ শেষ হলে যাচাই বাছাইয়ের পর তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হয়। এর আগে বিজিবি প্রতিনিধি দল মংডু গমন করে সকাল সাড়ে ১০টা হতে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মিয়ানমারের মন্ডু অভ্যন্তরে ১নং এন্ট্রি-এক্সিট পয়েন্টে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে পতাকা বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে মিয়ানমার বিজিপির নেতৃত্বে ১২সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন টিং লিন।
বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ফিরে আসা ব্যক্তিরা হচ্ছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাশিরা বাড়ির লেদু মিয়ার পুত্র বদিউল আলম, টেকনাফের উত্তর শীলখালীর আব্দুস শুক্কুরের পুত্র রহিম উল্লাহ, নুরুল কবিরের পুত্র মুফিজুর রহমান, আনোয়ারুল ইসলামের পুত্র আজিজুল ইসলাম, কক্সবাজারের রামু থানার দক্ষিণ কলাতলীর মোঃ শফিকের পুত্র মোঃ সামির, টেকনাফ সদরের গোদারবিলের মোঃ সাব্বিরের পুত্র মোঃ শাকের আহমদ, কক্সবাজার ঘোনার পাড়ার আসগর আলীর পুত্র মোঃ জালাল উদ্দিন, সাবরাং হারিয়াখালীর আব্দুল আমিনের পুত্র মিজানুর রহমান, লাফারঘোনার মৃত কালু মিয়ার পুত্র নুরুল আলম, হারিয়াখালীর আব্দুর রশিদের পুত্র আজিজ উল্লাহ, আব্দুল মজিদের পুত্র আব্দুস সালাম, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার নেংটা ফকির পাড়ার ওয়াশিউর রহমানের পুত্র মোঃ হেলাল, শাহপরীর দ্বীপের মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র মোহাম্মদ জালাল, মৃত সেতাব্বরের পুত্র আবু তাহের, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বড়লোনা কুঞ্জুরী পাড়ার অং জো মারমার পুত্র সে থো অং মারমা, মংপ্রু মারমার পুত্র ইউ সাথোই মারমা ও চট্টগ্রামের বাশঁখালী উপজেলার সরল বাজারের আইয়ুব আলীর পুত্র জামাল উদ্দিনকে বিজিবি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করেন।
ফেরত আসা ১৭জনের মধ্যে ৫বছর ৯মাস সাজাভোগী জামাল উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী হতে একটি ফিশিং ট্রলারে ৫ মাঝি মাল্লা সাগরে মাছ শিকারে গিয়েই ওপারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হন।
এছাড়া খাগড়াছড়ির দুই যুবক অবৈধভাবে মিয়ানমারে আত্মীয়ের কাছে বেড়াতে গিয়ে সিট ওয়ে হতে আটক হন।
টেকনাফের শব্বির সহ ১২জন ৬ মাস আগে দালালের মাধ্যমে সাগর পথে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে আটক হয়ে হাজত বাসের পর অবশেষে দেশে ফিরলেন।
মিয়ানমার হতে ফেরত আনা নাগরিকদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের জন্য দুপুরেই সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Posted ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh