নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২০ জানুয়ারি ২০১৯
১৮ জানুয়ারী এমপি সাইমুম সওয়ার কমল সমর্থিত গ্রুপ সভা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজলে বিরুদ্ধে সভা করে তাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি উত্থাপন করেন। যাতে দল থেকে বহিস্কার হলে উপজেলা নির্বাচন করতে না পারেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাসহ যুবলীগ,ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় কাজলের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারকে স্বৈরাচারি বলা, নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়াসহ ব্যাপক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া ছোট ভাই কমল যাতে এমপি না হয় সেই জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে বড় ভাই কাজল। এসব অভিযোগের পর কমল আতংকে পরের দিন ১৯ জানুয়ারী একদিনের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে রামু উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা করে কাজলকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজলের সভাপতিত্বে স্থানীয় স্বপ্নপুরী কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, রামু উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপ্রিয় নাম সোহলে সরওয়ার কাজল। রাজনীতি, শিক্ষা, সমাজকর্ম থেকে শুরু করে সবস্তরে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। পিতা ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর যোগ্য উত্তসুরি হিসেবে জনপ্রিয় এই নেতাকে আগামী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী করলে দলের বিজয় সুনিশ্চিত। তার পক্ষে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মী একাট্টা হয়ে কাজ করবে।
খুনিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হক কোম্পানীকে বিষ্ফোরক আইনে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলায় জড়ানোয় বর্ধিত সভায় নিন্দা প্রস্তাব পাশ করা হয়। ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদকে দোষারুপ করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মন্ডলের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হানিফ বিন নজির, মৃণাল বড়–য়া, নুরুল আমিন মাস্টার, নুর হোছেন মেম্বার, নুরুল ইসলাম বকুল, জেলা অওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট সোলতানুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সুজন শর্মা, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী, ইউনুছ রানা, শেখ জুনাইদ বিপ্লব, অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক নুরুল ইসলাম সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সন্তুষ মেম্বার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. শফিকুল ইসলাম টুনু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মীর কাশেম হেলালী, সদস্য ও ফতেখারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল মালেক সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাসান তারেক মুকিম, আবুল কালাম সিকদার, ফতেখারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ মিয়া, সহসভাপতি রহমত উল্লাহ, ওবাইদুল হক, জহির আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার কামাল, রাজারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তারেক সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার কামাল সোহেল, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হোছন মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল বোরহান উদ্দিন সাহান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন সিকদার, চাকমারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভুট্টু, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক জহুর আলম, যুগ্মআহবায়ক ওসমান গণি মেম্বার, ঈদগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম হাজি, রশিদনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বজল আহমদ বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সায়েম মো. শাহীন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর সিকদার, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাগের আহমদ, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হক কোম্পানী, সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদু, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাস্টার মোহাম্মদ এহেছান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ভুলু, গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউছুপ মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক শংকর শর্মা।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মনোয়ারা ইসলাম নেভি, নারী নেত্রী কুলসুমা আকতারসহ দলের তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ।
Posted ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২০ জানুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh