নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই ২০১৮
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ঐক্য না থাকলেও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জেতাতে বিএনপি-জামায়াত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। অন্যদিকে কাউন্সিলর প্রার্থীদের জেতাতে আওয়ামী লীগের মধ্যে সমন্বয় নেই।
স্ব-উদ্যোগে আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের বিভিন্ন পদবীধারী নেতা-নেত্রীরা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত পন্থী কাউন্সিলরদের সমর্থন জানিয়ে জামায়াত-বিএনপি একসাথে কাজ করছে। এমন কি তাদের জেতাতে আর্থিকভাবেও সহায়তা করা হচ্ছে। সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থীদের পক্ষেও তারা কাজ করছেন। পৌর নির্বাচনের পর সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে বিএনপি -জামায়াত জোট কাউন্সিলরদের জিতিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী অবস্থান করার লক্ষ্যে কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা মনে করছেন কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হলে পৌর পরিষদে যেমন দলের জন্য ভূমিকা রাখতে পারবেন তেমনি সংসদ নির্বাচনে এসব কাউন্সিলরদের দিয়ে ভোটারদের তাদের পক্ষে টানতে পারবেন।
অন্যদিকে বর্তমান পৌর নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপির স্ব স্ব মেয়র প্রার্থীদের পক্ষেও ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন। শুধু এবার না, প্রতি পৌর নির্বাচনে বলিষ্ট ভূমিকা রেখে জামায়াত বিএনপি তাদের পছন্দের প্রার্থীদের জিতিয়ে নেয়। যেমন গত পৌর নির্বাচনে ১২ টি ওয়ার্ডে ৪ টিতে আওয়ামী লীগ ধারার প্রার্থী ও বাকি ৮ জন জামায়াত বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করে। সংরক্ষিত ৪টি মহিলা আসনে আওয়ামী লীগ পরিবারের কোন প্রার্থী জিতেনি। এতে করে পৌর পরিষদের সংখ্যাগরিষ্টতা জামায়াত বিএনপির নিয়ন্ত্রনে চলে যায়। একইভাবে এবারো পৌর পরিষদের সংখ্যাগরিষ্টতা ধরে রাখতে জামায়াত বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। অন্যদিকে এবারের পৌর নির্বাচনে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত বিভিন্ন পদবীধারী নেতা-নেত্রীরা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে তারা নিজেরাই নির্বাচনি বৈতরনি পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের সমর্থনে আওয়ামী লীগ নেতাদের কোন ঘোষণা যেমন নেই তেমনি কোন সমন্বয় নেই। যে যার মতো নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতারা মেয়র পদে নৌকা মার্কার জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটাই মেয়র পদে মুুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানকে জিতানো। সেই জন্য তারা কাউন্সিলর পদে কে বা কারা নির্বাচিত হচ্ছেন তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই আওয়ামী লীগ নেতাদের। বিএনপির মনোনিত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের পক্ষে বিএনপি নেতারা কাজ করছেন। এর মধ্যে বিএনপি নেতাদের একটি অংশ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থীদের জন্য কাজ করছে।
অন্যদিকে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী সরওয়ার কামালের পক্ষে জামায়াত নেতাদের একটি অংশ যেমন কাজ করছেন তেমনি আরেকটি অংশ কাউন্সিলরদের পক্ষে কাজ করছেন। সেই ক্ষেত্রে জামায়াত যাকে পছন্দ করেছে তাকে বিএনপিও সমর্থন করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন। এতে করে গতবারের ন্যায় এবারো জামায়াত বিএনপির পছন্দের প্রার্থীদের সংখ্যাগরিষ্ট আসনে জয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশবিদেশ /১৭ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ১১:২৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh