দেশবিদেশ ডেস্ক | মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১
করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ভয়ে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছেড়ে গেছেন সাধারণ রোগীরা। গত রবিবার দুপুরে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় শূন্য পড়ে রয়েছে পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডের বেডগুলো। হাসপাতালে আসছেনও কমসংখ্যক রোগী। আগে যেখানে প্রতিদিন আড়াইশ রোগী আসতেন, এখন আসছেন অর্ধশত। তবে করোনা পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের ভিড় দেখা গেছে। গত রবিবার (১৩ জুন) হাসপাতালে ৪৪ জন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। তাদের মধ্যে ২৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস জানান, গত ২০ এপ্রিল থেকে মোংলায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট টেস্টের মাধ্যমে করোনার পরীক্ষা শুরু করা হয়। এর পর ১৩ জুন পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩৬ জনের করোনা পজিটিভ হয়। অথাৎ পরীক্ষণ বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৫৫ শতাংশ। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোংলা উপজেলার প্রায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
মোংলা সমুদ্রবন্দর শহরে করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলেও নানা সমস্যার কারণে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারছে না উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। করোনার এই মহামারীকালেও সরকারি এই হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ানের তিনটি ও সহকারী ল্যাব টেকনিশিয়ানের তিনটি পদই শূন্য। নেই এক্স-রে টেকনিশিয়ান। অ্যাম্বুলেন্স দুটিও দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস বলেছেন, শূন্য পদগুলো পূরণ ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালু এখন সময়ের দাবি। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা না থাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের অধিক চাপের অক্সিজেন প্রয়োজন হলে খুলনায় পাঠাতে হচ্ছে। করোনার আক্রান্ত হয়ে যেসব রোগীর অক্সিজেনের অতি প্রয়োজন বা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়, এমন রোগীদের খুলনা পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এ ছাড়া টেকনিশিয়ান না থাকায় নন-টেকনিশিয়ানদের দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করানো হতো কয়েক দিন আগেও। জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে পার্শ্ববর্তী রামপাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেকনিশিয়ানকে মোংলায় আনার পর গত সপ্তাহ থেকে সপ্তাহে ছয় দিন এখানে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে টেকনিশিয়ান না থাকায় বন্ধ রয়েছে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনও। এত জনবলস্বল্পতার মধ্যেও হাসপাতালটিতে করোনার যে ইউনিট রয়েছে, সেখানে একসঙ্গে ১৫ জনকে সেবা দেওয়া যায়। মোংলায় করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন রোগী ভর্তি হয়ে এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান ডা. জীবিতেশ।
Posted ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১
dbncox.com | ajker deshbidesh