বৃহস্পতিবার ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম
মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী হলেও ইট দিয়ে হচ্ছে যেনতেন মেরামত

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত!

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও,   |   শনিবার, ২৮ জুলাই ২০১৮

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত!

কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের আজিজনগর পর্যন্ত প্রায় ৮১ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৫০ কিলোমিটারেরই বেহাল দশা। কিন্তু বাস্তবে অবস্থা এর চেয়েও বেশি খারাপ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কক্সবাজার অধীন মহাসড়কের বাস টার্মিনাল থেকে আজিজনগর পর্যন্ত সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ হলেও এর মধ্যে প্রকৌশলীরা নিজেরাও জানেন না কত কিলোমিটার সড়ক খারাপ। কোরবানি ঈদের আগে বেহাল সড়কের সংস্কারে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে উদ্যোগ নিতে দাবী জানানো হয়েছে। তবে চলতি বর্ষায় সংস্কার কাজ শুরু করলেও পরিবহন মালিক, সাধারণ যাত্রীরা বলছেন তা হবে ক্ষণস্থায়ী। এতে জনদুর্ভোগ কমবে না। সরেজমিন দেখা গেছে, সওজের অধীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের জেলার অংশের সদর উপজেলা গেইট, লিংকরোড, রামু, রশিদনগর, ঈদগাঁও বাস ষ্টেশন, নতুন অফিস, খুটাখালী ষ্টেশন, ডুলাহাজারা, মালুমঘাট, চকরিয়া, বরইতলী, হারবাং, আজিজনগর অংশে সড়ক নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে। সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গর্তের সাথে যোগ হয়েছে সড়কের উঁচু-নিচু অংশ। এসব এলাকায় সড়কের একপাশের অংশ উঁচু হয়ে আছে।

রাস্তার মাঝের অংশ পাশের অংশের তুলনায় নিচু। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কের ঈদগাঁও থেকে খুটাখালী পর্যন্ত সড়ক ভাঙা। তৎমধ্যে বেশ কিছু প্রধান সড়কের পরিস্থিতি বেহাল হলেও নামে মাত্র সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমে নতুন করে কাজ করা অধিকাংশ সড়কেরই কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় গর্তে ভরে গেছে। যার কারনে মানুষের দুর্ভোগ আরও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিকরা জানায়, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছানোর এখন আর নির্দিষ্ট সময় নেই। গত ২ মাস ধরে মহাসড়কের অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপই হচ্ছে। সড়ক খারাপ হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে মালামাল পৌঁছানো যাচ্ছে না।

এদিকে তড়িঘড়ি করে সড়ক মেরামতের বিষয়ে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির নেতারা বলেন, বৃষ্টির মধ্যেই কিছু ইট দিয়ে কোনো রকমে সড়ক মেরামত হচ্ছে। তা ঠিক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারী যানবাহনের চাপে তা আগের চেয়ে খারপ হয়ে পড়ছে। সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া জানান, অর্থ বছরের শুরুতে খারাপ ও বন্যা কবলিত সড়ক সংস্কারে ২৫ কোটি টাকা চেয়েছিলো সওজ। সে অনুসারে কোনো বরাদ্দই আসেনি। যা বরাদ্দ পাওয়া গেছে সে টাকায় সংস্কার কাজ পরিচালনায় অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

দেশবিদেশ / ২৮ জুলাই ২০১৮/নেছার

Comments

comments

Posted ১:৪৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৮ জুলাই ২০১৮

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com