শহীদুল্লাহ্ কায়সার | রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮
দেশের অনেক জেলার তুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় পিছিয়ে কক্সবাজার জেলা। এজন্য এক সময় মহান জাতীয় সংসদে পর্যন্ত শিক্ষায় পশ্চাদপদ কক্সবাজার উঠেছিল আলোচনার স্থানে। সেই পেছনের দিন এখন বদলে গেছে। শিক্ষায় কক্সবাজার এখন অনেক এগিয়ে। এগিয়ে রয়েছেন এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রীধারী প্রার্থীরাও। সরকারি হিসাবেই কক্সবাজার জেলায় স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৬৯ শতাংশ।
যাদের সবার শুধুমাত্র অক্ষরজ্ঞান রয়েছে। তবে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে এই জেলার মানুষ। বিগত ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে দেখা গেছে যার প্রকৃত চিত্র। ওই নির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থী শিক্ষাগত যোগ্যতার স্থানে উল্লেখ করেন স্বশিক্ষিত। নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাবের বিষয়টি জনসমক্ষে এলে লজ্জায় পড়তে পারেন। তাই বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে ‘স্বশিক্ষিত’ উল্লেখ করে প্রকৃত সত্য আড়াল করার চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন জেলার ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী হেভিওয়েট প্রার্থীরা। যেন কক্সবাজারবাসী এখন সৌভাগ্যের তিলক নিয়ে হাঁটছেন। দেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ বর্তমানে জেলার ৪টি আসনে ১২ প্রার্থীকে
শক্তিশালী মনে করা হচ্ছে। উল্লিখিতদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর অতিক্রম করেছেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে গণফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ড. আনসারুল করিম। তিনি পিএইচ.ডি ডিগ্রিধারী। অন্যদিকে কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মফিজুর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ.এস.সি।
অন্য প্রার্থীদের মধ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাফর আলম ¯œাতকোত্তর ডিগ্রিধারী (এম.এ), তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গণ্যকারী হাসিনা আহমেদও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রিধারী (এল.এল.এম), এই আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াছ ¯œাতক সমমানের ফাজিল ডিগ্রিধারী।
কক্সবাজার-২ ( মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে অধ্যাপক ড. আনসারুল করিম ছাড়াও অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আশেক উল্লাহ্ রফিক এবং জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুর রহমান আজাদের রয়েছে ¯œাতকোত্তর (এম.এ) ডিগ্রি।
কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদরÑরামু) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সাইমুম সরওয়ারের রয়েছে ¯œাতকোত্তর (এম.এস.এস) ডিগ্রি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গণ্যকারী বিএনপির লুৎফুর রহমান ¯œাতক (বি.কম) ডিগ্রিধারী।
কক্সবাজার -৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র দুই প্রার্থীই ¯œাতক ডিগ্রিধারী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শাহীন আক্তার জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে ¯œাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অন্যদিকে বিএনপি’র শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন ¯œাতক ডিগ্রি। এই আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত আবুল মঞ্জুরের শিক্ষাগত যোগ্যতা এম.এ।
জেলার ভোটারদের মধ্যে জাতীয় পার্টির আবেদন কম। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল হওয়ায় এই রাজনৈতিক দল মনোনীত প্রার্থীদেরও হেভিওয়েট মনে করা হচ্ছে। যে কোন মুহূর্তে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয়া হলে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ঘরাণার ভোট চলে যেতে পারে জাতীয় পার্টির বাক্সে।
Posted ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh