নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৮
আসন্ন সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ। প্রতিমা তৈরি সম্পন্ন শেষে তুলির শেষ আচড়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শিল্পীরা। মন্ডপে-মন্ডপে আর ঘরে-ঘরে চলছে প্রস্তুতি। সনাতন সম্প্রদায়ের বৃহত্তম এ উৎসবকে নির্বিগ্ন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলাব্যাপী উৎসব মুখর পরিবেশে পুজা উদযাপনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
আশ্বিনের সাদা মেঘের ভেলা আর সাদা কাশফুলের দোলা-জানান দিচ্ছে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। শিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় খড় আর মাটির মিশ্রণ বিমূর্ত হয়ে উঠছে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমাগুলো। শিল্পীদের রং তুলির ছোঁয়ায় বর্ণিল হয়ে উঠছে প্রতিমাগুলো। আর সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ।
শনিবার বেলা ১১টায় কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড়স্থ জেলা পুজা উদযাপন পরিষদ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শারদীয় দুর্গোৎসব কক্সবাজার জেলাব্যাপী উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলার ৮উপজেলায় ৩০১টি মন্ডপে সারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। মধ্যে ১৪০ টি প্রতীমা ও ১৬১ টি ঘট পূজা। এর বাইরে কুতুপালং রোহিঙ্গা হিন্দু ক্যাম্পে একটি প্রতীমা পূজার মন্ডপ করা হবে। ১৯ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্যদিয় সম্পন্ন হবে দুর্গোৎসব।
জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যডভোকেট রনজিদ দাশের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সিনিয়র সহ সভাপতি রতন দাশ, সাধারন সম্পাদক বাবুল শর্মা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠন দাশ মিঠু, দীপক শর্মা দিপু, অর্থ সম্পাদক এ্যাডভোকেট উজ্জল দাশ, প্রচার সম্পাদক খোকন দাশ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক বলরাম পাল, সদর উপজেলা সভাপতি দিপক দাশ, সাধারণ সম্পাদক বাবলা পাল সহ অনেকে।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটি সভাপতি এ্যাডভোকেট রনজিত দাশ জানান, পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলায় ৩০১টি মন্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে সার্বজনীন শারদীয়া দুর্গোৎসব উদযাপনের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা ও পৌর এলাকায় ৪৫টি প্রতীমা ও ৩৮টি ঘট সহ ৮৩টি মন্ডপ, চকরিয়া উপজেলা ও পৌর এলাকায় ৪৪টি প্রতীমা ও ৩৯টি ঘট সহ ৮৩টি মন্ডপ, মহেশখালী উপজেলা ও পৌর এলাকায় একটি প্রতীমা ও ৩০টি ঘট সহ ৩১টি মন্ডপ, রামু উপজেলায় ১৯টি প্রতীমা ও ১১টি ঘট সহ ৩০টি মন্ডপ, পেকুয়া উপজেলায় ৬টি প্রতীমা ও ৮টি ঘট সহ ১৪টি মন্ডপ, উখিয়া উপজেলায় ৭টি প্রতীমা ও ৮টি ঘট সহ ১৫টি মন্ডপ, টেকনাফ উপজেলা ও পৌর এলাকায় ৫টি প্রতীমা মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৯ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটক সহ পুজারীদের উপস্থিতিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয় সম্পন্ন হবে সনাতন সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মানুষ্ঠান সার্বজনীন দুর্গোৎসব।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসাইন জানান, কক্সবাজার জেলায় শারদীয় দুর্গোৎসবকে নির্বিগ্ন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৩স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পোষাকধারী পুলিশ, আনসার, গোয়েন্দা পুলিশ দিয়ে প্রতিটি পুজা মন্ডপ আগলে রাখার পাশাপাশি বিসর্জনের দিন সৈকত এলাকায় অতিরিক্ত সাড়ে ৪শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
Posted ১:১৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh