নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮
বাংলাদেশে নব নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকেই নিজ দেশে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে নিরাপদ এবং স্বেচ্ছামূলক। এ লক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, দ্রুত সময়ে বিপুল পরিমান রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে কক্সবাজারের পরিবেশ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরিবেশের অপুরনিয় ক্ষতি পুনরুদ্ধারে যুক্তরাস্ট্র সরকার সহায়তা করবে। কেবলমাত্র শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, কক্সবাজারের স্থানিয় জনগনের জন্যও যুক্তরাষ্ট্র সরকার সহায়তা অব্যাহত রাখবে। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও স্থানিয় জনগনের প্রশংসা করেন তিনি।
৩ দিনের সফরের শেষ দিনে ৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে যান। সেখানে আরআরআরসি কর্মকর্তাদের সাথে দেড় ঘন্টা ব্যাপি বৈঠক করেন। এর পর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সেখানে জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন তিনি। এরপর তিনি জেলা পুলিশ প্রশাসনের সাথেও বৈঠক করেন।
গত মঙ্গলবার সকালে বিমান যোগে তিনদিনের সফরে কক্সবাজার পৌঁছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। ওই দিন বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির ঘুনধুম তুমব্রু সীমান্তের শুণ্য রেখার কোনার পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, বালুখালী ট্রানজিট ক্যাম্প, কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। বুধবার টেকনাফের লেদা, নয়াপাড়া ও শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি নির্যাতিত রোহিঙ্গা, ক্যাম্পে দ্বায়িত্বরত সরকারী ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। এছাড়াও ইউএসএআইডি এর আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিন দিনের সফর শেষে আজ দুপুরে বিমান যোগে ঢাকা উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
Posted ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh