দেশবিদেশ রিপোর্ট | শনিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৮
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসাবে তালিকাভুক্ত হবার পর থেকেই একের পর এক সমালোচনা চলে আসছিল মহেশখালী দ্বীপের সেই কুখ্যাত রাজাকার পরিবারের এক সন্তানকে নিয়ে। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগটনিক পদ এবং সদস্য হিসাবে এরকম স্থান দেওয়া আরো ক’জনের বিরুদ্ধেও অনুরুপ অভিযোগ-এলোক গুলো এর আগে কোন কালেই এবং কোন দিনও আওয়ামী রাজনীতির সাথে ছিল না। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা এ শ্রেণীর লোকগুলো নিয়ে এ রকম সন্দেহ পোষণ করাও হচ্ছিল কমিটি গঠনের পর থেকেই। এমনকি মহেশখালী দ্বীপের এরকম আরো এক নব্য আওয়ামী লীগারকে নিয়েও প্রবল আপত্তি রয়েছে। অনেকেই নানা সন্দেহও পোষণ করছেন।
এদিকে বৃহষ্পতিবার রাজধানী ঢাকায় মহেশখালীর মেয়র মকছুদ মিয়ার পুত্র নিশান সহ ৬ জন ইয়াবা ও নগদ টাকা নিয়ে ধরা পড়ার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার শহর থেকে প্রকাশিত কোন পত্রিকাই মহেশখালী দ্বীপে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দ্বীপের স্বাধীনতা বিরোধী সেই চক্রটিই তৎপরতা চালিয়ে কোন স্থানীয় পত্রিকা দ্বীপের পাঠকদের কাছে পৌঁছতে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
মহেশখালী দ্বীপের ২২ নম্বর তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী মরহুম মোহাম্মদ হাশেম চেয়ারম্যানের পুত্র এবং মহেশখালী পৌরসভার মেয়র, মহেশখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সর্বশেষ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়ে মেয়র মকছুদ মিয়াকে নিয়ে আজ দেশ-বিদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় বইছে। ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সবচেয়ে সোচ্ছার হয়ে পড়েছে গত ৭ আগষ্ট গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে মুজিব কোর্ট গায়ে রাজাকার পরিবারের সন্তান মেয়র মকছুদ মিয়ার বিচরণ। সেই কুখ্যাত রাজাকার পরিবারের সন্তান বাঙ্গালী জাতির এমন বিষাদের মাস-বাঙ্গালীর জনক হারানোর কান্নার মাস আগষ্টে কি করে গণভবনে ঢুকার অনুমতি পান ? এমন প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অব্যাহত রয়েছে। ফেসবুকে ফেসবুকে মুজিব কোর্টের সেই ব্যক্তির ছবিও রয়েছে। গত বৃহষ্পতিবার রাজধানী ঢাকায় মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়ার পুত্র নিশান ও টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলামের পালিত পুত্র হিসাবে এলাকায় পরিচিত মৌলভী জহির সহ ৬ জন ইয়াবা করাবারি ৭ কোটি টাকা ও ২ লাখ ইয়াবা সহ ধরা পড়ার পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় বইছে। মকছুদ মিয়ার পুত্র নিশানের সাথে ধরা পড়েছে তার (নিশান) এক খালাত ভাইও। সেই খালাত ভাই হচ্ছেন টেকনাফের বড় হাজীর পরিবারেরই সদস্য।
এলাকায় তোলপাড় চলছে মেয়র মকছুদ মিয়ার গণভবনে প্রবেশের মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় তারই পুত্র ঢাকায় ইয়াবার এত বড় চালান নিয়ে ধরা পড়ার বিষয়টি নিয়ে। মকছুদ মিয়ার অজানা কাহিনী বৃহষ্পতিবার ঢাকায় উদঘাটনের পর ইতিমধ্যে ফেসবুকে ফেসবুকে দাবিও উঠেছে তাকে অবিলম্বে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হোক।
Posted ১০:০৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh