নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮
গতকাল ৯ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের শেষ দিন রিটার্নিং অফিসার ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন’র কাছে লিখিতভাবে মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করে নেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী আবু মোঃ মাসুদুল ইসলাম। অন্যদিকে আদালতের আদেশে মনোনয়নপ্রত্র বৈধ হয়েছে একই আসনে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী মোঃ মোহিবুল্লাহর। গতকাল মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে মোঃ মোহিবুল্লাহ্ বলেন, আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হলেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।
এক প্রার্থীর প্রত্যাহারের পাশাপাশি অন্য একপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ লাভ করায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ৪ আসনে প্রার্থী সংখ্যা ৩০ অপরিবর্তিত থাকলো। তবে, প্রার্থী তালিকা থেকে আরো একজন বাদ যেতে পারেন। আজ ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজের পক্ষে দলীয় প্রতীক বরাদ্দের চিঠি প্রদর্শন করতে না পারলে বিএনপি নেতা আলমগীর মোঃ মাহফুজ উল্লাহ্ ফরিদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষিত হবে। প্রদর্শন করতে পারলে বাতিল হবে, জামায়াত নেতা এ.এইচ.এম. হামিদুর রহমান আজাদের মনোনয়নপত্র।
আজ সোমবার (১০ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষর সংবলিত চিঠিতে যাঁর নাম উল্লেখ থাকবে তাঁকেই দেয়া হবে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নির্বাচনী প্রতীক।
এদিকে, গতকাল সারাদিন কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক আলোচনার বিষয় ছিলো কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসন। আসনটিতে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সেই তথ্য জানার চেষ্টা করেছেন সবাই। দুপুরের দিকে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা এ.এইচ.এম. হামিদুর রহমান আজাদের পক্ষে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে বিএনপি মহাসচিব স্বাক্ষরিত একটি চিঠি তুলে দেন রিটার্নিং অফিসারের হাতে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জেলার ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন ঃ
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) ঃ জাফর আলম {বি.এ (অনার্স) এম.এ} (আওয়ামী লীগ), হাসিনা আহমেদ (বিএনপি), মোহাম্মদ ইলিয়াছ (জাতীয় পার্টি), হাজি বশিরুল আলম (ওয়ার্কার্স পার্টি), মোহাম্মদ আলী আছগর (ইসলামি আন্দোলন), বদিউল আলম (স্বতন্ত্র) এবং তানিয়া আফরিন (স্বতন্ত্র)।
কক্সবাজারÑ২ ( মহেশখালী-কুতুবদিয়া) ঃ আশেক উল্লাহ্ রফিক (আওয়ামী লীগ), আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ্ ফরিদ (বি.এন.পি), এ.এইচ.এম. হামিদুর রহমান আজাদ (ঐক্যফ্রন্ট), আনছারুল করিম (গণফ্রন্ট), জিয়াউর রহমান (ইসলামিক ফ্রন্ট) মোঃ শহীদুল্লাহ্ (এনডিএম), জসিম উদ্দিন (ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলন), মেজর (অব.) শাহেদ সরওয়ার (বিকল্পধারা), আব্ ুইউসুফ মোঃ মনজুর আহমেদ (ইসলামি ফ্রন্ট)।
কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু) ঃ সাইমুম সরওয়ার কমল (আওয়ামী লীগ), লুৎফুর রহমান কাজল (বিএনপি), মফিজুর রহমান (জাতীয় পার্টি), মোঃ হাছান (বিএনএফ), এবং মোঃ আমিন (ইসলামি আন্দোলন, বাংলাদেশ)।
কক্সবাজারÑ৪ (উখিয়াÑটেকনাফ) ঃ শাহীন আক্তার (আওয়ামী লীগ), শাহজাহান চৌধুরী (বিএনপি), মোঃ সালাহউদ্দিন (বিএনপি), আবুল মঞ্জুর (জাতীয় পার্টি) সাইফুদ্দিন খালেদ (এনডিএম), রবিউল হোছাইন (ইসলামি ঐক্যজোট), মোঃ শোয়াইব (ইসলামি আন্দোলন, বাংলাদেশ)।
Posted ১০:২৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh