দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৮
সড়ক পথে চলন্ত গাড়ির সংঘর্ষের ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু উড়ন্ত বিমানের সংঘর্ষ এবং এর ফলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঘটনাও যে ঘটে, সেটি হয়তো অনেকেরই জানা নেই।
১৯৮৮ সালের ঘটনা। ইতালির বিমানবাহিনীর একটি বিমান জার্মানির রামস্টাইন বিমানঘাঁটিতে আরো কয়েকটি বিমানের সাথে রণকৌশল প্রদর্শন করছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে বিপরীত দিক থেকে ৬০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে আসা আরো পাঁচটি বিমানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মুহূর্তের মধ্যেই চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে মাটিতে পড়ে তিনটি বিমান।
ভয়াবহ এ বিমান দুর্ঘটনায় তিনজন পাইলট সহ ৭০ জন নিহত হয়। আহতের সংখ্যা ছিল ১৫’শ। দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট অগ্নিকুণ্ড ও বিমানের ছিটকে আসা ধ্বংসাবশেষের আঘাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের স্বরণে রামস্টাইন এয়ার বেইজে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করেছে কর্তৃপক্ষ। আহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণও দেয়া হয়।
দুর্ঘটনা পরবর্তী আইনি বিষয়াদি নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না আহত দর্শনার্থীরা। ন্যাটোর আইন অনুযায়ী, ইতালির বিমানবাহিনী এ ঘটনার জন্য দায়ী বলে জানানো হয়।
দুর্ঘটনার তদন্তে গঠিত ‘রামস্টাইন তদন্ত কমিটি’ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ফলে দুটি আলাদা প্রতিবেদন জমা পড়েছিল। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনাটি এড়ানো সম্ভব ছিল। অন্য প্রতিবেদনটি বলেছে, ইতালীয় বৈমানিক অচেতন হয়ে পড়েছিলেন।
ওই ঘটনার পর জার্মান সরকার দেশটিতে সবধরনের এয়ার শো নিষিদ্ধ করেছিল। তবে জনগণ এয়ার শো দেখতে চায় এবং তাদের দেখার অধিকার আছে, দেশটির কিছু রাজনীতিবিদ এমন দাবি তুললে, ১৯৯০ সাল থেকে পুনরায় এয়ার শো চালু করা হয়। ডিডব্লিউ।
দেশবিদেশ /৩০ আগস্ট ২০১৮/নেছার
Posted ১০:২৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh