সংবাদ বিজ্ঞপ্তি | শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট | 30 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
কক্সবাজারের রামুর উত্তর মিঠাছড়ির পাহাড় চুড়ায় প্রতিষ্ঠিত দেশের বৃহত্তম ‘ভূবন শান্তি একশফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধমুর্তি’ সংবলিত বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী আয়োজিত পবিত্র কঠিন চীবর দানের প্রধান ব্রতী ছিলেন উখিয়া উপজেলার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পুলিন বিহারী বড়ুয়া ও তাঁর পরিবার।
দুই পর্বের ধর্মানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির সভাপতি ভদন্ত ধর্মপাল মহাথেরো ও রামু মৈত্রী বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বিজয় রক্ষিত মহাথেরো। এতে দেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের প্রাজ্ঞ-পন্ডিত ভিক্ষুসংঘ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, প্রধান শিক্ষক অমৃত কুমার বড়ুয়া।
বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ-সংঘরাজ, একুশে পদকে ভূষিত, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের অধ্যক্ষ প্রয়াত পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরো, উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞামিত্র বনবিহারের অধ্যক্ষ প্রয়াত প্রজ্ঞামিত্র মহাথেরো ও প্রয়াত সারমিত্র মহাথেরোর পারলৌকিক নির্বাণ শান্তি কামনা এবং বাংলাদেশ সহ বিশ্বের মঙ্গল কামনায় পূণ্যদানের মাধ্যমে দিনব্যাপী মহতী দানানুষ্ঠানে উদ্বোধনী ধর্মদেশনা করেন বিমুক্তি বিদর্শণ ভাবনা কেন্দ্র ও একশ ফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধ মুর্তির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ভদন্ত করুনাশ্রী মহাথেরো।
শুরুতে পবিত্র রিপিটক থেকে মঙ্গল সূত্র পাঠ করেন ভদন্ত সুগতপ্রিয় ভিক্ষু। দানোৎসবে প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের অধ্যক্ষ শীলপ্রিয় মহাথেরো, উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির মহাসচিব, মধ্যরত্না রত্নাংকুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ জ্যোতি প্রজ্ঞা মহাথেরো।
প্রধান জ্ঞাতির ধর্মদেশনা করেন উখিয়ার জ্যোতিপ্রিয় মহাথেরো, কক্সবাজার উঃকুশল্ল্যা বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ জ্ঞানপ্রিয় মহাথেরো।
ধর্মদেশনা করেন হাজারিকুল বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সৌরবোধি থেরো, ভদন্ত প্রজ্ঞাপাল থেরো, শ্মরনপ্রিয় থেরো প্রজ্ঞাতিলক থেরো, চন্দ্রবোধি থেরো, ধর্মপাল থেরো, বোধিপ্রিয় থেরো প্রমুখ।
বিমুক্তি বিদর্শণ ভাবনা কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সীপন বড়ুয়া জানান, দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বুদ্ধপূজা, অষ্টপরিস্কারসহ মহা সংঘদান, ধর্মসভা, জ্ঞাতি ভোজন, কঠিন চীবর ও কল্পতরু উৎসর্গ, বাংলাদেশসহ বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা। তিনি কঠিন চীবর দান উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ভাবে সু-সম্পন্ন হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনসহ অংশ গ্রহনকারি সকল পূণ্যার্থীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ডিবিএন/জেইউ।
.
এ বিভাগের আরও খবর