দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | শুক্রবার, ২৭ জুলাই ২০১৮
উত্তর কোরিয়ায় নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে রি ইয়ং গিলকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ক্ষমতায় আসার পর এটাই সর্বশেষ সেনা প্রধান নিয়োগের ঘটনা। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার রি ইয়ং গিলকে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
মার্কিন কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, কিম জং উন অর্থনীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর গুরুত্ব দিতে গিয়ে বর্তমান সেনাপ্রধানকে এমন একজনের স্থলাভিষিক্ত করা হলো যিনি ছিলেন অনেক বেশি রক্ষণশীল এবং দেশটির পারমাণবিক ইস্যুতে ছিলেন অনেক বেশি একনিষ্ঠ। তিনি যে কোনো ধরণের পরিবর্তন সব সময় মেনে চলতেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএর খবরে বলা হয়েছে, রি ইয়ং গিল সেনাপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর পরই প্রধানমন্ত্রী কিম জং উনের সঙ্গে ১৯৫০-৫৩ সালে হওয়া কোরিয়ার যুদ্ধে নিহত সেনাদের সমাধিস্থল পরিদর্শনে যান। যুদ্ধ বিরতি চুক্তির ৬৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সফরে যান তারা।
রি ইয়ং গিল সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার আগে ২০১৬ সালে ডেপুটি চীফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তাকে সেখান থেকে পদচ্যুত করা হয়। কি কারণে এমনটা করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
সম্প্রতি দেশটির সহকারি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নো কোয়াং কোল এর ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি এই নিয়োগ পেলেন। এছাড়াও সাবেক সেনাপ্রধানকে দেশটির সেনা নিয়ন্ত্রিত শক্তিশালী জেনারেল পলিটিক্যাল ব্যূরো (জিপিবি) এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সবাই তাদের পূর্বসূরীদের চেয়ে বয়সে ছোট। যদিও নিয়োগপ্রাপ্ত সবার বয়স ৬০ এর কাছাকাছি। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান রি ইয়ং গিল তার পূর্ববর্তী সেনা প্রধান রি মিয়ং সু এর চেয়ে ২১ বছরের ছোট। বর্তমানে রি ইয়ংয়ের বয়স ৬৩ বছর।
মার্কিন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, পারমাণবিক ইস্যুতে পিয়ংইয়ং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার যে কথাবার্তা চলছে তাতে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সাথে কিছু বিষয় নিয়ে মতবিরোধ আছে। যা কিম জং উনের দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলা পারমাণবিক অস্ত্র এবং যুদ্ধাবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত। এটা পরিষ্কার নয় যে ওই পদচ্যূত কর্মকর্তারা ওই ঘটনার জন্য দায়ী কিনা।
দেশবিদেশ /২৭ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ৯:০০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৭ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh