শফিক আজাদ,উখিয়া | রবিবার, ০৪ নভেম্বর ২০১৮
উখিয়ার চৌরাস্তার মাথা থেকে করইবনিয়া পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইট চুরি করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সড়কের ইট চুরি করে সড়ক ফাঁকা করে ফেলায় খানা খন্দকে পরিণত হয়ে সড়ক দিয়ে গাড়ী ও জনচলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এসব সড়কের ইট না থাকায় বৃষ্টি পানি কাদা মাটিতে একাকার হয়ে যাওয়ার কারনে জিম্মি হয়ে লক্ষাধিক মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তবে কিছু কিছু লোকজন বিকল্প পথে উখিয়া সদরের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হলেও বৃহত্তর গ্রামবাসি ঘরবন্ধি হয়ে মানবেতর দিন যাপন করতে হয়ে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার প্রধান সড়ক হয়ে পশ্চিম ডিগলিয়া চৌরাস্তার মাথা থেকে করইবনিয়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কাপের্টিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার মাঝে মাঝে কিছু অংশ খুললেও বিভিন্ন স্থানে ইট রয়ে যায়। যাহা এলাকার কতিপয় দুর্বৃত্তরা সড়কের ব্যবহৃত ইট গুলো কে বা কারা প্রতিনিয়ত চুরি করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা সদর থেকে ২কিলোমিটার অদূরে চৌরাস্তার মাথা। সেখান থেকে করইবনিয়া প্রায় ৩ কিলোমিটার। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন গ্রামাীন সড়ক উন্নয়নের নামে গত ৫ মাস আগে রাস্তাটির কিছু অংশ কুড়াকুড়ি ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়ে যাওয়ার কারনে অসহনীয় জনদুর্ভোগে পড়েছে ডেইলপাড়া, পূর্বডিগলিয়া, করইবনিয়া, চাকবৈঠাসহ ১২টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৩কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দে রাজাপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের এ সড়কটি ২টি প্যাকেজে ব্রিক সলিন সড়ক থেকে কার্পেটিং সড়কে উন্নতি করণের লক্ষ্যে প্রায় ৮মাস আগে প্রকাশ্যে দরপত্র আহবানের মাধ্যমে সর্বনি¤œ দরদাতা ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৫মাস আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এসব সড়কের ভাঙ্গাচুড়া ইট গুলো তুলে নিয়ে যায় এবং সড়ক থেকে ২ফুট গর্ত করে মাঠি কুড়ে ফেলে ঠিকাদার উধাও হয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মীর সাহেদুল ইসলাম চৌধুরী রোমান জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তার কাজ না করে ফেলার রাখার কারনে ইট,কংক্রিট চুরি হয়ে যাচ্ছে। তাতে করার কিছু নেই। কারণ ঠিকাদারের গাফেলতির কারনে চুরেরা এ সুযোগ পেয়েছে। তবে সাধারণ মানুষকেও বুঝা দরকার এই ইট গুলো সরকার ও জনজনের সম্পদ। সুতারাং এ সরকারী সম্পদ গুলো রক্ষা আমাদের সকলের কর্তব্য।
সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার (অব:) উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী আশরাফ আলী সাথে এ বিষয়ে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, যতটুকু রাস্তা খোলা হয়েছিল তাতে কংক্রিট ও বালু ফেলা হয়েছে। আর বাকী যে অংশ টুকু রয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে। ইট চুরি হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সে বলেন, এসব বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলিম লিটন সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারদের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যথা সময়ে কাজ শুরু করলে এতদিনে শেষ হয়ে যেত। এখন তা না করার কারনে দুর্বৃত্তরা ইট ও কংক্রিট চুরি করার সুযোগ পেয়েছে। তিনি রাস্তাটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে সাংবাদিকদের জানান।
Posted ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৪ নভেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh