শফিক আজাদ,উখিয়া | সোমবার, ০৯ জুলাই ২০১৮
উখিয়ায় বালুখালী পানবাজারের দু’পাশের্^ সরকারি বন ভূমির জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছে শতাধিক অবৈধ দোকান-পাট। স্থানীয় এক শ্রেণীর অসাধূ ভূমিদস্যু রোহিঙ্গা অবস্থানকে পুঁজি করে বনবিভাগের বিশাল জায়গায় এসব অবৈধ স্থায়ী স্থাপনা তৈরী করে গেলেও বনবিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই। এর ফলে স্থানীয় লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সরজমিন বালুখালী পানবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বালুখালী পানবাজারটি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। গত ২৫ আগষ্টের পর পাশ^বর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে বালুখালী এলাকায়। এরপর থেকে এ বাজারটি নতুন করে প্রাণ ফিরে পান।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল বনবিভাগের কর্তা-ব্যক্তিদের মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে বালুখালী পানবাজারে যত্রতত্র ভাবে গড়ে তুলতে শুরু করেছে পাঁকা অবৈধ স্থাপনা। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার চৌধুরী বলেন, বালুখালী পুরো বাজারটি সরকারি বনভূমি জায়গা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ বাজারটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল। রোহিঙ্গা আসার পর থেকে আবার চালু হয়। এর ফলে পূর্বে থেকে যাদের যেসমস্ত জায়গা দখল ছিল,তারাই ওই দোকান গুলোকে পাঁকা ভবনে রূপান্তর করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালুখালী এলাকার সাবেক এক জনপ্রতিনিধি সাংবাদিকদের বলেন, বনবিভাগ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে বলে আমার মনে হয় না, কারণ প্রকাশ্যে দিবালোকে শত শত দোকান-পাট গড়ে উঠছে বালুখালী পানবাজারে, কোন দিন বনবিভাগের কর্তা-ব্যক্তিদের এখানে দেখিনি।
তবে শুনতেছি তারা এখানে না আসার কারণ হচ্ছে মোটা অংকের টাকায় নাকি সব ম্যানেজ হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজনের নিকট জানতে চাইলে তারা জানান, ইতিপূর্বে উখিয়ার তৎকালীন সহকারি কমিশনার (ভূমি) বালুখালী এলাকার অবৈধ দখলদার ছৈয়দ নুরের বেশ কয়েকটি দোকান ভেঙ্গে দিয়েছিল, কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতে পূনরায় দোকান গুলো নির্মাণ করে ফেলে। তার অধীনে বনবিভাগের জায়গায় অন্তত ৩০টি অবৈধ দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে ৩ থেকে ৫লাখ টাকা নিয়ে ভাড়া নিয়েছে।
একই ভাবে হাবিবুর রহমান, আব্দুল গণিসহ ১০/১২জন প্রভাবশালী প্রায় শতাধিক দোকান নির্মাণ করে চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কক্সবাজার জেলা বন কর্মকর্তা মোঃ আলী কবির জানান, উখিয়ার কুতুপালংয়ের পরে আমাদের কোন কাজ নেই। কারণ ওই সব এলাকায় রোহিঙ্গা অবস্থান করছে, সুতারাং ওখানে বন ভূমির কোন অস্থিত্ব নেই। তিনি আরো বলেন, স্বল্প সংখ্যক লোকবল নিয়ে এত বিশাল বনভূমি রক্ষা করা সম্ভব নয়। তাদের কাছে এ ধরনের প্রতিনিয়ত অনেক অভিযোগ আসছে কিন্তু কিছু করতে পারছেনা। তারা এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে স্বীকার করেন।দেশবিদেশ /০৯ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ১০:৩৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৯ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh