নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া | শনিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৮
বঙ্গোপ সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে উখিয়ায় গত ৩ দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ঘুমোট আবহাওয়ার পাশাপাশি শৈতপ্রবাহের কারনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া অফিস শতর্ক সংকেত ৪ নাম্বার থেকে ৩ নাম্বারে নামিয়ে আনলেও বৈরী পরিবেশ অব্যাহত রয়েছে। পাহাড় ধ্বসের ঝুকিতে রয়েছে রোহিঙ্গাসহ অসংখ্য স্থানীয় নাগরিক। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় সব ধরনের নৌজানকে সতর্কতার সাথে চলাফেরা করার পাশাপাশি যে কোন ধরনের প্রাকৃতিক মোকাবেলার প্রস্তুত থাকার জন্য উপক’লীয় জনপ্রতিনীধিদের নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ভারী বৃষ্টিপাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাভাবিক জীবন যাপন কাহিল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় তিতলির মোকাবেলা করার জন্য উপক’লীয় এলাকাসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে প্রায় ১০ হাজার পরিবার রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ততাপিও ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিওর নিয়োগকৃত স্বেচ্ছাসেবকদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পে পাহাড়ের উপরে, ঢালুতে বা নিচে যে সমস্ত রোহিঙ্গারা রয়েছে তাদেরকে এনজিও সংস্থার বিভিন্ন গোড়াউনে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ক্যাম্প ইনচার্জের সাথে ইতিপূর্বে আলোচনা করে ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারনে যেন কোন রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এনজিও সংস্থাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক খাবার, ঔষুধ সামগ্রী তাৎক্ষনিক বিতরন ও সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ফায়ার সার্ভিসকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় তিতলির আশংকায় বৃহস্পতিবার উপক’লীয় এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে পৃথক দুটি আলোচনা সভা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক রাখা এবং উপক’লের কাছাকাছি বসবাসরত পরিবারদের, শিক্ষা প্রতিষ্টান ও সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের আওতাধীন যথেষ্ট পরিমান খাবার সামগ্রী রয়েছে। যা দিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলা করার সম্ভব হবে।
Posted ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh