রফিক উদ্দিন বাবুল, উখিয়া | বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮
উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে বকপাখীসহ বহুপ্রজাতির অতিথি পাখী শিকার করা হচ্ছে। পাখী শিকার নিষিদ্ধ আইন থাকলেও কার্যকর না থাকায় এলাকার এক শ্রেনীর পেশাদার শিকারী প্রতিনিয়ত অভিনব কায়দায় বকপাখী শিকার করে প্রকাশ্যে বাজারজাত করছে। পাখী শিকার অব্যাহত থাকায় কৃষি প্রদান উপজেলা উখিয়া অদুর ভবিষ্যতে পাখীশূণ্য হয়ে পড়ার আশংকা করছে পরিবেশ বাদী সচেতন মহল।
সরজমিন উখিয়ার মাছকারিয়া এলাকা ঘুরে বেশ কয়েকজন পাখী শিকারীর সাথে কথা বলে বকপাখী শিকারের ধরন জানতে চাওয়া হলে মছন আলী (১৮) ও শামশুল আলম (১৭) নামের দুই যুবক জানান, শিকারীরা একটি বকপাখীর চোখ দুটি সেলাই করে দিয়ে অন্ধ করে ফেলে। সকালের দিকে ওই অন্ধ বকপাখীটি ফাকা জায়গায় ছেড়ে দেয়। অপর দিকে শিকারীরা চারিদিকে জাল ফেলে অদৃশ্য অবস্থায় উৎপেতে থাকে। এসময় ঝাকে ঝাকে উড়ে যাওয়া বকপাখীরা মাঠে বিচরনকরা অবস্থায় একটি বকপাখী দেখে বকের ঝাক সেখানে নেমে পড়ে। এসময় শিকারীরা তাদের হাতে থাকে জালের রশি টান দিলে বকপাখীর ঝাকশুদ্ধ জালে আটকা পড়ে যায়। দৈনিক কত বকপাখী ধরা হয় জানতে চাওয়া হলে নসরত আলী নামের একজন পেশাদার বকপাখী শিকারী বললেন, এখন দৈনিক ৫০/৬০টি বকপাখী ধরা যায়। তবে ধানে পাক ধরলে আরো বেশি পরিমান বকধরা যাবে বলে ওই শিকারী জানান। একটি বকপাখী কত টাকায় বিক্রি হয় জানতে চাওয়া হলে সে জানান, আগে ৪০/৫০ টাকা দরে বিক্রি হতো। রোহিঙ্গা আসাতে বকপাখীর দাম বেড়েছে। তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন মাছকারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান বকপাখী উদ্ধার করে ছেড়ে দেওয়ার পর পাখাী শিকারীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজাপ্রদান করায় কিছু দিন পাখী শিকার বন্ধ ছিল। এখন আবার পুরোদমে চলছে পাখী নিধনজঞ্জ। এব্যাপারে উখিয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী তারিকুর রহমানের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, এসব ব্যাপার তিনি জানতেন না। পাখী শিকার প্রতিরোধে এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh