শফিক আজাদ,উখিয়া | শনিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের বালুখালী-২নং ক্যাম্পের মাঝামাঝি স্থানে সড়কের পাশের্^ রোহিঙ্গারা বাঁশের বেড়া বানানোর কাজ করছে। বিদেশী এনজিও সংস্থা তুর্কি’র অর্থায়ানে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে প্রায় ৫শতাধিক রোহিঙ্গাকে সেখানে জড়ো করে দৈনিক ৪০০/৫০০টাকা মজুরী দিয়ে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন রোহিঙ্গা মাঝি। এসময় তুর্কি সংস্থার কাউকে পাওয়া না গেলেও উক্ত রোহিঙ্গা শ্রমিকেরা জানিয়েছেন ৬মাসের চুক্তিতে তারা এ কাজ করছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, বালুখালী ২নং ক্যাম্পে এনজিও সংস্থা তুর্কির অর্থায়ানে সহ¯্রাধিক ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা সবাই রোহিঙ্গা। তৎমধ্যে কুতুপালং লম্বাশিয়া ও মধুরছড়া তুর্কি পাহাড়ের বাসিন্দা। কাজে নিয়োজিত রোহিঙ্গা শ্রমিক আবু বক্কর ছিদ্দিক মাঝি জানান, তার ব্লকের শতাধিক সহ এই কাজে প্রায় ৫শতাধিক শ্রমিক কাজ করছে। প্রতি শ্রমিকের মজুরী ৪০০/৫০০টাকা।
কুতুপালং লম্বাশিয়া তুর্কি পাহাড়ের রোহিঙ্গা ছৈয়দ কাশেম বলেন, এনজিও সংস্থা তুর্কির সাথে কন্ট্রাকে তারা এই কাজ করছে। অন্তত ৬মাস লাগতে পারে এই ঘর গুলো নির্মাণ করছে। ১০ হাত বাই ০৮হাত দৈর্ঘ্য প্রস্থের প্রায় সহ¯্রাধিক ঘর নির্মাণ করা হবে বালুখালী-২ নং ক্যাম্প সহ অন্যান্য ক্যাম্পে।
স্থানীয় আবুল কালাম জানান, গত ২০১৭ সালের আগষ্টের পর মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা এসে আমাদের ক্ষেত খামারের জায়গা গুলো দখল করে বসতি গড়ে তুলেছে। কোন প্রকার ক্ষতিপূরণতো দুরের কথা তাদের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকও হতে পারিনি। আমাদেরকে এলাকা বাইরে গিয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে। আর দেশি-বিদেশী এনজিও সংস্থা গুলো ক্যাম্পের কাজ করাচ্ছে রোহিঙ্গা দিয়ে। অল্প টাকায় রোহিঙ্গা শ্রমিক ব্যবহার করতে পারায় স্থানীয় গবির,অসহায় লোকেরা বেকার।
এ নিয়ে এনজিও সংস্থা তুর্কির ঠিকাদার কুতুব উদ্দিনের ০১৮১৭২৪০২৭৪নাম্বারের একাধিক বার যোগাযোগ করেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। একই ভাবে স্থানীয় সাব-ঠিকাদার নুরুল আমিনের নিকট এ ব্যাপারে জানার জন্য শতবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
Posted ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh