রফিক উদ্দিন বাবুল, উখিয়া | বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮
মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন এনজিও ও দাতা সংস্থা তাদের প্রয়োজনের তাগিদের দোহাই দিয়ে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মান অব্যাহত রেখেছে। এনজিওদের পাশাপাশি এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী দুর্বৃত্ত এনজিওর নাম ভাঙ্গিয়ে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে থাইংখালী বনবিট কর্মকর্তা জানান, পাহাড় কেটে মাটি পাচারের অভিযোগে ময়নারঘোনা গ্রামে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্থানীয় বনবিভাগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পালংখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক পাহাড় কেটে সেখানে এনজিওরা বিভিন্ন ডিজাইনের স্থাপনা নির্মান করেছে। পাহাড় কাটা মাটিতে খাল ছড়া ও জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলে স্থানীয় চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগ করেন। গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এনজিওরা খাল খননের আস্বস্ত করে পাহাড় কাটা ক্ষনিকের তরে বন্ধ করলেও আবার পুরোদমে চলছে নির্বিচারে পাহাড় কর্তন। থাইংখালী ময়নারঘোনা গ্রামের নুরুল বশরের ছেলে মজিবুর রহমান অভিযোগ করে জানান, এনজিওর নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় নুর আহম্মদের ছেলে ছৈয়দ নুর, আলমগীর, ছৈয়দুর রহমানের ছেলে অছিউর রহমান তার বসবাড়ী সংলগ্ন পাহাড়ের মাটি কেটে প্রতি গাড়ী দেড় হাজার টাকা করে বিক্রি করছে। পাহাড় কেটে মাটি পাচারে বাধা দিতে গেলে উল্লেখিত দুর্বৃত্তরা ডাব্লিউ এফপির নাম ভাঙ্গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা ফজল কাদের ভুট্রো এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বসতবাড়ী সংলগ্ন পাহাড়ের মাটি কাটার ফলে মজিবুর রহমানের বাড়ীটি হুমকির মূখে পড়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে থাইংখালী বনবিট কর্মকর্তা মঞ্জুর মোরশেদ জানান, ডাব্লিউ এফপির ডিষ্টিবিউশন সেন্টারের পাশ^স্থ পাহাড়ের মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছে। এঘটনায় ছৈয়দ নুর, আলমগীর ও অছিউর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় একটি বন মামলা রুজু করা হয়েছে।
Posted ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh