নিজস্ব প্রতিনিধি উখিয়া | শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮
রাখাইন রাজ্যে বসবাসকৃত মুসলিম রোহিঙ্গারা জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে এদেশে পালিয়ে আসলেও উখিয়ার সীমান্ত দিয়ে বন্ধ হয়নি চোরাইপণ্য পাচার। বিশেষ করে গত বছরের ২৫ আগষ্টের পর মিয়ানমারের একটি বাহিনী তাদের নিজস্ব রাখাইন জনগোষ্ঠির মাধ্যমে এদেশে মিয়ামারের তৈরী সিগারেট পাচার আগের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি করেছে বলে সীমান্তে বসবাসকারীরা জানিয়েছে।
জানা গেছে, চলতি মাসের ১৬তারিখ কক্সবাজারস্থ র্যাব-৭এর সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়ার বাণিজ্যিক ষ্টেশন কোটবাজার এলাকার পূর্ব পাশের এএস শপিং সেন্টারের মেসার্স এস.এস.টি.আর রাইচ এজেন্সী দোকানের অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৬ হাজার ৯২০ পিচ সিগারেটসহ ইকবাল হোসেন সোহেল (৩১) একজনকে আটক করে। এসব সিগারেটের মূল্য ২০ লাখ ৬৯ হাজার ২শ’ টাকা। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ওইদিন অন্তত কোটি টাকার সিগারেট সীমান্ত দিয়ে এদেশে প্রবেশ করেছে। এসব সিগারেটের বড় চালান অন্যত্রে পাচার হয়ে গেছে বলে দাবী করে সীমান্তের আমতলি এলাকার আলী আহমদ সাংবাদিকদের আরো জানান, চোরাচালানী সিন্ডিকেট সীমান্ত দিয়ে পুরোদমে পাচার বাণিজ্য শুরু করেছে।
অভিযোগ উঠেছে, সীমান্তের নিয়োজিত বিজিবি’র চোঁখ ফাঁকি দিয়ে কতিপয় পাচারকারী সিন্ডিকেট মিয়ানমার থেকে চোরাইপণ্য পাচার অব্যাহত রেখেছে। তবে প্রশাসনের লোকজন এসব বিষয়ে অবগত থাকার পারও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলেও সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনের অভিযোগ। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, মিয়ানমারের সিগারেট সহ সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে আসা যেকোন চোরাইপণ্য বাজাতজাত করা চরম অপরাধ। এসব চোরাইপণ্য বাজারে পাওয়া গেলে অবশ্যই জড়িত পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Posted ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh