রফিক উদ্দিন বাবুল, উখিয়া | শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮
উখিয়ার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী রহমতেরবিল আঞ্চলিক সড়কের ৫টি গ্রামের হাজারোও মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম চিতাখোলা কালভার্ডটি পূননির্মানের নামে অস্থিত্বহীন করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার উধাও হয়ে গেছে আজ প্রায় ৬ মাস। স্থানীয় চেয়ারম্যান বলেলন, তারা এমনিতে রোহিঙ্গার প্রভাবে সার্বিক ভাবে বিব্রতকর অবস্থায় প্রতিয়মান। এমন পরিস্থিতিতে কালভার্ডটি ভেঙ্গে অস্থিত্বহীন করার ফলে এলাকায় বসবাসরত মানুষের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
সরজমিন এলাকা ঘুরে, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোজাফফর আহম্মদ সাওদাগরের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, ৬ মাস পূর্বে উক্ত কালভার্ডটি পূণ নির্মান করার নামে ভাংচুর করে ঠিকাদার উধাও হয়ে যায়। যার ফলে রহমতেরবিল, উত্তর পাড়া, দক্ষিন পাড়া, পন্ডিত পাড়া, নলবনিয়া ও আঞ্জুমান পাড়াসহ ৫ গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপন, স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত তরিতরকারি বাজারজাত করন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, একজন মূমূর্ষ রোগিকে হাসপাতালে নিতে হলে দীর্ঘ বিকল্প পদ ধরে নিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সংকটাপন্ন রোগিদের বেলায় অবস্থা মারাতœক বেগতিক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, জেলা এলজিইডি অফিস থেকে উক্ত চিতাখোলা কালভার্ডটি পূন নির্মান করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে ৬ মাস পূর্বে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। উক্ত ঠিকাদার ব্রীজটি পূণ নির্মানের জন্য সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলে চলে যাওয়ার পর আর দেখা মেলেনি বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানান। পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, চিতাখোলা কালভার্ডটি নির্মানের জন্য জেলা উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তাদের একাধিক বার অবহিত করা হয়েছে। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া উপজেলায় দীর্ঘ ৮ বছর ধরে দায়ীত্বরত সহকারী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন তেলে বেগুনে জ¦লে উঠে বলেন, চিতাখোলা কালভার্ডটি নির্মানের জন্য পূন টেন্ডার আহবানের প্রক্রিয়া চলছে। কবে কাজ শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
দেশবিদেশ /১৯ অক্টোবর ২০১৮/নেছার
Posted ৯:৪৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh