মঙ্গলবার ২৮শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম
সরকারি আদেশ গোপন করে টাকা আত্মসাৎ

উখিয়ার জনস্বাস্থ্য প্রকোশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা

শফিক আজাদ,উখিয়া   |   শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮

উখিয়ার জনস্বাস্থ্য প্রকোশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা

উখিয়ায়-টেকনাফের স্থানীয় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সরকারি জন্য বরাদ্দ করা নলকূপ থেকে এক কোটি ৩১ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে উখিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল হোসাইন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এড.ছলিম উদ্দীন বাদি হয়ে জেলা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ফৌজধারী ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। যার নং- ১৪/১৮। দায়ের করা এজাহারের তথ্য মতে জানা গেছে, মোঃ ইকবাল হোসেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর উখিয়া ও টেকনাফ (অতিরিক্ত) উপজেলার উপ সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্বে রয়েছেন । মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর পাঁচ’শ ও রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় স্থানীয়দের জন্য পাঁচ’শ নলকূপ বরাদ্দ দেয়।

এসব নলকূপ বিতরণ করতে গিয়ে বরাদ্দ পাওয়া স্থানীয় লোকজন থেকে প্রতিজনে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এভাবে পাঁচ’শ জনকে তিনি এক কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের বরাদ্দ করা নলকূপগুলো এনজি’র মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। এনজিও গুলো যেনতেন ভাবে নলকূপগুলো বসানোর কারণে পানি ব্যবহার করা যায়নি। পানি ব্যবহারযোগ্য না হলেও নলকূপ প্রতি এক হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল হোসাইন নলকূপগুলোর ইতিবাচক প্রত্যয়নপত্র দেয়। সেখান থেকে তিনি ৩০ লাখ টাকা ঘুষ নেন। এছাড়াও ভুয়া বিল-ভাউচার বানিয়ে তিনি সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বাদি এজাহারে আরো বলেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল হোসাইন দীর্ঘদিন ধরে এভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে একাধিক ফ্ল্যাট বাড়ি কিনেছেন। এছাড়াও ব্যাংকেও নামে-বেনামে বিপুল টাকা গচ্ছিত রেখেছেন।

মামলা বাদী এড. সেলিম উদ্দীন বলেন, অনূকুল পরিস্থিতি না থাকায় জরুরী পরিস্থিতিতে বরাদ্দ করা নলকুপের জন্য সহায়ক চাঁদা মওকুফ করে দেয়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে গোপন রেখে উখিয়ার উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইন উখিয়ায় ৪৬৪টি এবং টেকনাফে ৩৬টি গভীর নলকুপ বিতরণ করে সহায়ক চাঁদা হিসেবে জনপ্রতি ২০থেকে পঁচিশ হাজার টাকা হারে হাতিয়ে নিয়েছে। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও সহায়ক চাঁদা মওকুফের বিষয়টি বুঝতে দেয়া হয়নি।

যার কারণে তার বিরুদ্ধে গত ১৮ জুলাই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে ক্যাম্পে ৫’শ এবং আশপাশের ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ৫’শ গভীর নলকুপ বরাদ্দ করেছে সরকার। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের এবং ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সেবায় এক হাজার নলকুপ স্থাপনে সরকারের ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১কোটি টাকারও বেশী। মামলা বাদি পক্ষের আইনজীবি এড. আবদুল বারী বলেন, দুর্নীতির যথাযথ তথ্য-প্রমাণসহ বাদির দায়ের করা এজাহার আদালত আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে রুজু করেছেন। আগামী ১ আগষ্ট শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন। ওই দিন আসামী ইকবাল হোসাইনকে আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল হোছাইনের নিকট বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার ফোন করেও মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Comments

comments

Posted ১১:৪৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com