সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও | সোমবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও মেহেরঘোনা রেঞ্জের অধীন কালিরছড়া এলাকার পাহারী হালদা থেকে শুরু করে ঈদ্গাঁও ভাদীতলা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হারে চলছে পাহাড় কর্তন করে মাটি ও বালি বিক্রয়।
ফলে বনবিভাগের পাহাড় সমুহ ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রতিদিন শতাধিক ডাম্পার এই কাজে নিয়োজিত থাকলে ও রহস্যজনক কারনে প্রশাসন নীরব রয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মেহেরঘোনা রেঞ্জের অধীন পাহারী হালদা নামক স্থান হতে প্রতিদিন স্কেবেটার দ্ধারা মাটি কেটে চড়া মুল্যে চায়না কোম্পানিকে বিক্রয় করা হচ্ছে। এমনকি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি হতে জোরপুর্বক মাটি কেটে বিক্রয় করা হচ্ছে। চায়না কোম্পানী হতে প্রতি বর্গফুট এক টাকা পঁচিশ পয়সা করে নেয়া হলেও জমির মালিকদের শুধু ১০ থেকে ১৫ পয়সা দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সরাসরি এই কাজে জড়িত থাকায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা।
ভুক্তভোগী জমির মালিকরা জানান, কাহাতিয়াপাড়া নিবাসী সাইর মোহাম্মদ জনৈক সফুরা বেগম হতে ৩৭ শতক জমি ক্রয় করেন। যার বি,এস খতিয়ান নং-৬৩০ ,দাগ-৪০৮৯ ,কিন্তু এই দাগের মোট এরিয়া ২ একর ৭০ শতক এবং নামজারী ও করেন ৩৭ শতক। সেই ৩৭ শতক জমির দোহাই দিয়ে বর্তমানে ২০০১-২০০২ সালের ১০০ নম্বর প্লটসহ পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে প্রায় ৫ একর এলাকার মাটি ইতিমধ্যেই বিক্রয় করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ট্রাক ড্রাইভার জানান, মেহেরঘোনা রেঞ্জ অফিসের অধীনে ৭টি পাহাড় কাটার পয়েন্ট রয়েছে। প্রত্যেকটি স্থানে প্রথমে বাধা দেয় কিন্তু রহস্যজনক কারনে আবার এক হয়ে যায়। মাঠ পর্যায়ে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় আজকে এমনতর অবস্থা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, আজকে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম কিন্তু পাহাড় কাটার স্থানটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিট কর্মকর্তা বিস্তারিত বলতে পারবেন।
পাহাড় কাটার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে কালিরছড়া বনবিট অফিসের কর্মকর্তা রাজিব জানান, রেল লাইনের জন্য বর্তমানে মাটি নেয়া হচ্ছে খতিয়ানি জায়গা থেকে। আমরা সার্ভেয়ার পাঠিয়েছিলাম বন বিভাগের জমি বা পাহাড়ের সীমানা নির্ধারনের জন্য কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়ায় কোন কিছু করা সম্ভব হয়নি।
Posted ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh