দেশবিদেশ রিপোর্ট | বুধবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৮
কক্সবাজারের র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) সদস্যরা এক অভিযান চালিয়ে ১৮ হাজার ৯শত ইয়াবা নিয়ে রামু থানা পুলিশের একজন কনষ্টেবল ও একজন ইয়াবা পাচারকারি সহ দুইজনকে আটক করেছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু বাইপাস সড়কে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। র্যাব সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে আটক পুলিশ ও পাচারকারিকে রামু থানায় সোপর্দ্দ করে।
জানা গেছে, ইয়াবার চালানের সাথে আটক পুলিশের পোশাক পরিহীত রামু থানার কনষ্টেবলের নাম ইকবাল হোসেন। আটক ইয়াবা পাচারকারি অপরজনের নাম ইয়াছিন আরাফাত এবং তিনি ফেনীর বাসিন্দা। র্যাব-৭ এর একদল সদস্য রামু বাইপাস সড়কে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামমুখি একটি মাইক্রোবাস আটক করে গতকাল ভোররাতে। র্যাব সদস্যরা সেই মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে ইয়াবার চালানটি উদ্ধ্রা করে।
এ বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল মনছুর ঘটনার কথা নিশ্চিত করে রাতে জানান-‘রামু থানার টহল পুলিশের রিকুইজিশন গাড়ীটি ঘটনার একদিন আগেই ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু কিভাবে পুলিশ কনষ্টেবলের নিকট ইয়াবার চালান উদ্ধার করা হয়েছে সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।’ থানার ওসি জানান, এবিষয়ে থানায় দায়ের কৃত এজাহারে কোথাও লেখা নেই আটক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধারের কথা । এজাহার মতে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে আটক পাচারকারীর নিকট থেকে এতে আরো উল্লেখ রয়েছে আটক পাচারকারী থানার আটক পুলিশ সদস্যকে চা-নাস্তা খাওয়ার কথা বলে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিল। তবে এই আ্টক পুলিশ সদস্য এই ঘটনায় জড়িত কিনা তা গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ইয়াবা কারাবারে জড়িত পুলিশ সদস্যদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না।
Posted ২:১৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh