শফিক আজাদ,উখিয়া | সোমবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
পার্বত্য বান্দরবানের রুমা উপজেলা সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের প্রায় দুইশ’ শরণার্থী বাংলাদেশে ঢোকার জন্য জড়ো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রুমা উপজেলার দুর্গম রেমাক্রি পাংসা ইউনিয়নের ৭২নং পিলারের কাছে চাইক্ষিয়াং পাড়ার ওপারে এসব শরণার্থী অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন সেখান স্থানীয় বাসিন্দা ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
সুত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের খুমি, খেয়াং, বম ও রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রায় দুইশ’ নারী পুরুষ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়। সুত্র আরো জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে মিয়ানমারের প্লাতোয়া জেলায় আরাকান আর্মির সঙ্গে ওই দেশের সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে এসব শরণার্থী রুমা উপজেলার দুর্গম সীমান্তপথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।
তবে শরণার্থীরা যাতে বাংলাদেশের ভূখন্ডে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এর জন্য রুমা ব্যাটালিয়নের সেনাবাহিনী ও বিজিবির চারটিরও বেশি টহল দল এখন সীমান্তে অবস্থান করছে।
বিজিবির বান্দরবান সেক্টর অধিনায়ক কর্নেল জহিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, শরণার্থীরা যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে তার জন্য সীমান্তে সতকর্তা জারি করা হয়েছে। সীমান্তের সম্ভাব্য স্থানগুলোতে টহল দল পাঠানো হয়েছে।
রেমাক্রির পাংসার ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম জানান, সীমান্তের ওপারে প্লাতোয়া জেলার কান্তালিন, খামংওয়া, তরোয়াইন এলাকাগুলোর পাড়ায় হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গুলি ও বোমাবর্ষণ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এসব জায়গা থেকে মিয়ানমারের খুমি, খেয়াং, বম ও রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রায় ২০০ নারী-পুরুষ ও শিশু আতঙ্কে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে।
তি?নি বলেন, ‘তারা এখন রুমা উপজেলার রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের চাইক্ষিয়াং সীমান্তের ওপারে তিদং এলাকায় জড়ো হয়েছে। এসব শরণার্থী বান্দরবান সীমান্তের চাইক্ষিয়াংপাড়া, নেপুপাড়াসহ কয়েকটি পাড়ায় প্রবেশের চেষ্টা করছে।
এছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের গভীন পাহাড়ে বেড়েছে অনাজা-অচেনা মানুষের আনাগোনা। যার ফলে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছে স্থানীয় লোকজন।
Posted ১:৩০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh