সাইফুল ইসলাম | শুক্রবার, ১৫ জুন ২০১৮
আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ। আজ সন্ধায় দেশের অনেকেরই চোখ থাকবে পশ্চিম আকাশে। খোঁজ রাখবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আজ শুক্রবার চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। আর না দেখা গেলে বাড়বে এক দিন রোজা, ঈদ হবে পরদিন রোববার। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত সকাল সাড়ে ৮ টায়। ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মাহমুদুল হক। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের দ্বারে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এই আনন্দের দিন ধনী ও গরীব ভেদাভেদ ভুলে ঈদের নামাযে এক কাতারে শামিল হয়। কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে জেলার প্রধান ঈদ জামায়াত।
ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশাল এই কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান। কেন্দ্রীয় এই ঈদগাহ ময়দানে একসঙ্গে ২০ হাজার মুসল্লিহ নামাজ আদায় করতে পারবেন। এখানেই জেলা প্রশাসক, সংসদ সদস্য, রাজনৈতক নেতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে এক কাতারে নামাজ আদায় করবেন। ১৪ জুন বিকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদে জামায়াতের জন্য সুসজ্জিত করে প্রস্তুত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানকে। পুরো মাঠে বাশ দিয়ে প্যান্ডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
এখন ওপর দিয়ে ত্রিপল টাঙ্গানোর কাজ চলছে। বৃৃষ্টিতে যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য ওপরে দেওয়া হচ্ছে মোটা ত্রিপলের ছাউনি। পানি নিষ্কাশনের জন্য রাখা হয়েছে ড্রেজের ব্যবস্থা। আশা করছি ২৮ রমযানের মধ্যে ঈদগাহ ময়দানকে পুরোপুরি নামাযের জন্য প্রস্তত করা সম্ভব হবে। কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের চারপাশ জুড়ে সার্বিক নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকবে আইনশৃংখলা বাহিনী। এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে দেশভেদে ঈদুল ফিতরের দিনক্ষণে তারতম্য হয়। বাংলাদেশে কবে উদ্যাপিত হবে ঈদ তা নির্ধারণে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরা আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম মিলনায়তনে বৈঠকে বসবেন। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের তারিখ নির্ধারণ হবে এ সভায়। আজ পবিত্র রমজান মাসের ২৯ তারিখ।
আজ সন্ধ্যায় দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে বেজে উঠবে চিরচেনা সেই সুর ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’। পবিত্র ঈদ মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে এবং সম্প্রতি বৃদ্ধি করে। বিশ্ব মুসলিম একই আত্মার বন্ধনে আবদ্ধএ কথা স্মরণ করিয়ে দেয় ঈদ। ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিয়ে এক কাতারে শামিল করিয়ে দেয় এ উৎসব। হিংসা-বিদ্বেষ ও অহংকারসহ সব (এরপর
অন্যায় ও পাপাচার মুছে দিয়ে নতুন করে সুখী পবিত্র জীবন যাপন শুরু করার তাগিদ দেয় ঈদ। ঈদের দিন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই আনন্দে মেতে ওঠে। একেকজন একেকভাবে আনন্দ উপভোগ করে থাকে। বিশেষ করে ছোট ও তরুণ-তরুণীদের আনন্দ উপভোগটা সবারই নজরে পড়ে। তারা ঈদের দিন ভোরে গোসল করে নতুন জামা-কাপড় পরে মিষ্টিমুখ করে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে। এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, প্রতি বছর কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত হয়েছিলো ৮ টায়। এবারে যেহেতু বৃষ্টি বাদলের দিন, সেহেতু ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত সাড়ে ৮ টায় অনুষ্ঠিত হবে।
Posted ১:২৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ জুন ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh