নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২
টেকনাফ উপজেলাধীন হ্নীলা শাহ মজদিয়া আলিম মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে ১৫ দিনের জন্য বরখাস্ত(ক্লাস বিরতি) রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১১ টায় এঘটনা ঘটে।
তবে জামাত শিবিরের দাপটে পরিচালিত এই মাদ্রাসাটি বার বার বিতর্কের অবসান হচ্ছে না। খোদ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলীর উপস্থিতিতে অফিস কক্ষে নুরুল আমিন কে মোবাইল ছুড়ে মারে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটলেও তারা ছিল অনেক টা নিরিহ দর্শকের ভুমিকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান
মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালিন সময়ে অফিস কক্ষে অনৈতিকভাবে দুই শিক্ষক হাতাহাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী ও অধ্যক্ষ চেয়ারম্যান নুর আহাম্মদ আনোয়ারী ওই দুই শিক্ষককে আগামী ১৫ দিনের জন্য ক্লাস বিরতিসহ সাময়িক বরখাস্তের নোটিশও প্রদান করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
তথ্য মতে আরো জানা যায়, শিক্ষার্থীদের নাস্তা ও নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষকের মধ্যে অফিস কক্ষে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির ঘটনাটি পরিচালনা পর্ষদ মনে করেছে তারা মাদ্রাসার নীতিমালা লঙ্ঘনসহ প্রতিষ্ঠান বিরোধী কর্মকান্ড ঘটিয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন মোঃ নুরুল আমিন ও টেকনাফ উপজেলা জামায়েত সভাপতি মওলনা আব্দুস সোবহান।
এই বিষয়ে নুরুল আমিন জানান, আব্দুস সোবহান ও তার ছেলে শিবির নেতার দাপট, গালিগালাজ ও মারধর থেকে রেহাই পায়নি প্রতিষ্ঠানের অনেকে নেতৃত্ব ও দলের প্রভাব ও সন্তানের, আরও কি অদৃশ্য শক্তিতে সবাই কে জিম্মি করে চলেছে তাদের দাপট। আব্দুস সোবহানের ছেলে শিবির নেতা তার ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার ভাইও তাকে মারতে এসেছে।
অধ্যক্ষ নুর আহাম্মদ আনুয়ারী জানান, তারা দুইজনই মাদ্রাসার নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে, এতে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তাদেরকে আগামী ১৫ দিনের জন্য ক্লাস বিরতি রাখা হয়েছে।
Posted ১:২৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২
dbncox.com | ajker deshbidesh