দেশবিদেশ রিপোর্ট | মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) পাইপ লাইনের জন্য স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণের বিষয়ে মহেশখালীর পান বরজ নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগের কোন প্রমাণ মিলেনি। বরং অভিযোগকারিরাই স্বীকার করেছেন, ‘কথিত ২২ কোটি টাকা লোপাটের উত্থাপিত অভিযোগ সত্য নয়।’
গতকাল সোমবার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত পান চাষী ও পান বরজের জমির মালিকদের নিয়ে অনুষ্টিত শুনানীতেই অভিযোগকারিরা তাদের অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা নেই বলে স্বীকার করেন। অভিযোগকারিরা জানান-ভুমি অধিগ্রহণের ২০ ও ২২ ধারা নোটিশ প্রাপ্তি নিয়েই তারা এর আগে এমন অভিযোগ করেছিলেন।
অভিযোগকারি আমান উল্লাহ বলেন, মহেশখালীর কালারমাছড়া ও ঝাপুয়া মৌজার ৫ টি খতিয়ানের আওতাধীন ১৭ টি দাগের পান বরজ যোগ্য জমিতে ২২ কোটি টাকা লোপাটের যে অভিযোগ তারা এনেছিলেন তা ছিল ভুল। তিনি বলেন, এলাকার লোকজনের পক্ষে জেলা ও উপজেলা সদরে তিনি প্রশাসন সহ নানা মহলে তথ্যাদি বলার জন্য যোগাযোগ করে আসছেন।
আমান উল্লাহ সহ ৫২ ব্যক্তি মিলে স্থানীয় ১২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলা হয়েছিল পান চাষযোগ্য জমির অবকাঠামোগত ২২ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। অনুষ্টানে মেম্বার শরিফ সহ আরো অনেকেই বক্তৃতা করেন। এ সময় একজন বলেন, যে, সোনার পাড়ার আলী আহমদ নামের একজন নিরীহ পান চাষী তার ক্ষতিপূরণের ৬ লাখ টাকার মধ্যে একই এলাকার মৌলভী নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি কৌশলে সাড়ে ৫ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আফসারুল আফসারের এ অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্টানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (পর্যটন) এস,এম সরওয়ার কামাল, ভ’মি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলএও) রেজাউল করিম, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি, কক্সবাজারের জ্যেষ্ট সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ ও মহেশখালীর কালামারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জানান, অভিযোগকারিরা জেলা প্রশাসকের নিকট প্রদত্ত অভিযোগনামায় উল্লেখ করেছেন, দু’টি মৌজার ৫ টি খতিয়ান ও ১৭ টি দাগের জমির অবকাঠামো বাবদ এ পর্যন্ত ৯৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা হয়েছে। এর পরই অভিযোগকারিরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে প্রদত্ত অভিযোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
অনুষ্টানে অভিযোগকারিদের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, প্রথমে সমস্যাদি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমানের সাথে আলাপ-আলোচনা সহকারে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তাতে সমাধান না হলে ভুমি অধিগ্রহণ শাখা পর্যায়ে গিয়ে চেষ্টা করতে হবে। অনুষ্টানে এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, সরকারের চাহিদা মাফিক মহেশখালী দ্বীপের মানুষ তাদের বাড়ী-ভিটার জমি পর্যন্ত অকাতরে দিয়ে দিচ্ছে। এজন্য দ্বীপের বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানাতেই হয়।
প্রসঙ্গত, মহেশখালী দ্বীপের কালারমারছড়া ইউনিয়নের সোনারপাড়া ও চিকনীপাড়ার পান চাষীরা সম্প্রতি কথিত লোপাটের অভিযোগে এক মানবন্ধন কর্মসুচি শেষে জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগনামা দাখিল করেছিলেন। উক্ত অভিযোগের তদন্ত করার জন্য শুনানীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শুনানীতে এরকম অভিযোগের প্রমাণ না মিলায় অভিযোগকারীরাই বুঝতে পারেন যে, তারা কারও উস্কানীতে পা দিয়েছিলেন অথবা কোন স্বার্থান্বেষী মহলের শিকার হয়েছিলেন। ####
Posted ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh