বার্তা পরিবেশক | শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
চলমান ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণকে পুনর্বাসন করার দাবিতে মহেশখালীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চলছে। গত দুইদিনে মাতারবাড়ি, কালারমারছড়া এবং হোয়ানকে এই গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে পুনর্বাসন করার দাবিতে চলমান এই এলাকাভিত্তিক গণসংযোগ পুরো উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
জানা গেছে, ‘মহেশখালীর জাগ্রত ছাত্রসমাজ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন মহেশখালীর কয়লাবিদ্যুৎসহ বিভিন্ন প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে পুনর্বাসন করার দাবিতে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচীর অন্যতম ছিলো সর্বসাধরণের অংশ গ্রহণে এলাকাভিত্তিক গণসংযোগ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মাতারবাড়ি থেকে এই গণসংযোগ শুরু হয়।
এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি কালারমারছড়ার বিভিন্ন এলাকা এবং হোয়ানকের ছনখোলাপাড়া, হরিয়ারছড়ার কালাগাজির পাড়া ও টাইমবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলমান এই গণসংযোগে মহেশখালীর সর্বস্তরের মানুষ স্বত:পূর্তভাবে অংশ নিচ্ছে। এটি আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
এসব গণসংযোগে বক্তারা বলছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে উন্নয়নের এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি দেশকে উন্নতির উচ্চ আসনে নিতে বদ্ধপরিকর। এই জন্য সারা দেশে নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এরই অংশ হিসেবে মহেশখালীতে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সব বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। মহেশখালীকে তিনি সিঙ্গাপুর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
বক্তারা আরো বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মহেশখালীতে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে মহেশখালী মানুষ নির্দ্বিধায় সরকারকে জমি দিয়ে দিচ্ছে। জমি হারিয়ে সব মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে অনেক হয়ে গেছে। অন্যদিকে কর্ম হারিয়ে নিঃস্ব হবে শ্রমিক শ্রেণি। ক্ষতিগ্রস্ত সব মানুষের জন্য ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ফলে যার মহেশখালীর মানুষের চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এই অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করতে অধিগ্রহণের আগেই তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে।
গণসংযোগের হোয়ানকের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রাসেল জানান, ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে অনুষ্ঠিত গণসংযোগে মানুষ ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। সর্বস্তরের মানুষ গণসংযোগে অংশ নিয়ে তাদের ন্যায্য অধিকার ও পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
‘মহেশখালী জাগ্রত ছাত্রসমাজ’র প্রধান সমন্বয়কারী ফজলে আজিজ মোঃ ছিগবাতুল্লাহ বলেন, ‘মহেশখালীর মানুষ তাদের বেঁচে থাকার সহায় সম্বল চিরদিনের মতো হারিয়ে ফেলছে। শুধুমাত্র দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে তারা এতবড় ত্যাগ করছে। কিন্তু বর্তমানে যে প্রক্রিয়া চলছে তাতে দেশের উন্নয়ন হলেও মানুষগুলো নিঃস্ব হয়ে যাবে। তাই অধিগ্রহণের আগে তাদের পুনর্বাসন করতে হবে। না হয় উন্নয়ন প্রকল্পের সার্থকতা পাওয়া যাবে না।’
Posted ৩:১৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh